মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঙ্কি পক্স (Monkey Pox) ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নিরিখে আরও এক ধাপ অগ্রসর হল ভারত। ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের নমুনা থেকে মাঙ্কি পক্স ভাইরাসের পৃথককীকরণ (Isolation) সম্ভব হয়েছে। বুধবার এমনটাই জানাল পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি (National Institute of Virology)। এখন দেশে মাঙ্কি পক্স নিয়ে গবেষণার অনুমতি না থাকলেও, ভবিষ্যতে গবেষণার ক্ষেত্রে অনেকটাই সুবিধা হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: দেশে চতুর্থ মাঙ্কি পক্স আক্রান্তের হদিশ, এবার দিল্লিতে
এই মুহূর্তে স্মল পক্সের টিকা দিয়েই মাঙ্কি পক্সের চিকিৎসা করা হচ্ছে। আর স্মল পক্সের টিকা তৈরির লাইসেন্স একমাত্র দানিশ কোম্পানির কাছেই রয়েছে। আর যে ভাইরাস থেকে মাঙ্কি পক্সের উৎপত্তি, সেই ভাইরোলা ভাইরাসের নমুনা সংরক্ষিত রয়েছে আটলান্টার ডিসিজ কন্ট্রোল ল্যাব এবং রাশিয়ার ভেক্টর ইনস্টিটিউটে।
এনআইভি-র গবেষক প্রজ্ঞা যাদব এবিষয়ে বলেন, "ভাইরাসের এই পৃথকীকরণের ফলে ভবিষ্যতে গবেষণা, টেস্টিং কিট তৈরি এবং টিকা তৈরিতে সুবিধা হবে। এভাবেই স্মল পক্সের টিকা তৈরি করা হয়েছিল। আর তার ফলে বহু মানুষের উপকার হয়েছে।"
আরও পড়ুন: শারীরিক সম্পর্কে ছড়াতে পারে মাঙ্কি পক্স? জানুন
তিনি আরও বলেন, ভাইরাসটির পৃথকীকরণে গবেষণার ক্ষেত্রে বিস্তর উপকার হবে। কী করে এই ভাইরাসের সংক্রমণ হচ্ছে তাও অনেকটা বোঝা যাবে।
এক আক্রান্তের ত্বকের নিচে থাকা লেজিয়নের ফ্লুইড ব্যবহার করে ভাইরাসটিকে আলাদা করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছে, এই পৃথকীকরণের কাজটি অত্যন্ত জটিল। এতে গবেষকদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা প্রবল। তাই কাজটি অত্যন্ত সাবধানে এবং উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে করতে হয়।
ইতিমধ্যেই আইসিএমআরের (ICMR) অধীনস্থ এই প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ফার্মা সংস্থা, টিকা নির্মাতা সংস্থা, গবেষণা সংস্থাগুলির থেকে এই বিষয়ে ‘এক্সপ্রেশন অফ ইন্টারেস্ট’ চেয়েছে। এমনকি ডায়গনস্টিক কিট নির্মাতাদের কাছেও ‘এক্সপ্রেশন অফ ইন্টারেস্ট’ চাওয়া হয়েছে।
গত ৭ মে যুক্তরাষ্ট্রে মাঙ্কি পক্সের (Monkey Pox) প্রথম কেসটি সামনে আসার পর থেকে দ্রুত ছড়িয়েছে এই রোগ। এই মুহূর্তে গোটা পৃথিবীতে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ হাজার। ইতিমধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচ জন।
+ There are no comments
Add yours