মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বার্ধক্যের ভারে ন্যুব্জ বিশ্বের বহু দেশ। তাই শিল্প স্থাপন হলেও কাজ করার লোক নেই। অগত্যা কর্মী আনতে হচ্ছে ভিন দেশ থেকে। তাতে দেশের টাকা চলে যাচ্ছে অন্য দেশে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ এবং সন্তান ধারণে অনিচ্ছুক মহিলার সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় এমনটা ঘটছে। ভারতে অবশ্য এমন সমস্যা নেই। বরং এখানে কাজের লোকই বেশি। ২০৩০ সালের মধ্যে তারুণ্যে ভরপুর হবে গোটা দেশ। কেবল ভারত নয়, এই তালিকায় রয়েছে চিন এবং ইন্দোনেশিয়াও। সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে ম্যাকিনসে (Mckinsey)। সেখানেই বলা হয়ছে, ২০৩০ সালের মধ্যে জি ২০-র সদস্য দেশগুলির মধ্যে বৃহত্তম কাজের লোকের দেশ হবে ভারত, চিন এবং ইন্দোনেশিয়া।
ম্যাকিনসের রিপোর্ট
রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্ব গভীরভাবে একে অপরের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। আগের থেকে এখন আরও বেশি করে হচ্ছে। ডিজিটাল এবং ডেটা ফ্লো বিনিময় হচ্ছে কমিউনিকেশন ও জ্ঞানের সাহায্যে। রিপোর্টে ম্যাকিনসে বলেছেন, যেহেতু বিশ্ব অর্থনীতির চিত্র এখন এটা দেখাচ্ছে, বর্তমানে বিশ্ব একটি নতুন যুগের শিখরে পৌঁছে গিয়েছে। অর্থনৈতিক ভূগোল বর্তমানে পূর্ব দিকে সরে এসেছে...।
জি ২০
রিপোর্টে (Mckinsey) উল্লেখ করা হয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে এই প্রথম ঋণ পৌঁছে গিয়েছে সর্বোচ্চ স্তরে। জি ২০-র সদস্য দেশগুলির ডেট-টু-গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্টের হার ৩০০ শতাংশেরও বেশি। জি ২০-র দেশগুলির মধ্যে ভারত এবং চিন হয়ে উঠবে সমৃদ্ধির চালিকা শক্তি। অন্য দেশগুলিও অন্তর্ভুক্তিকরণ এবং স্থায়িত্বের ক্ষেত্রে আগের চেয়ে আরও ভাল অবস্থায় চলে আসবে।
জি ২০-র সদস্য দেশগুলির অর্ধেকেরও বেশি জনসংখ্যা ইকনোমিক এমপাওয়ারমেন্টের লাইনের নীচে বাস করে। এর মধ্যে ১০০ মিলিয়ন মানুষ রয়েছেন, যাঁরা চরম দারিদ্রের মধ্যে বাস করছেন। তামাম বিশ্বের নিরিখে এর পরিমাণ ৪.৭ বিলিয়ন। ম্যাকিনসের মতে, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার তিনের চার ভাগেরও বেশি মানুষ দারিদ্রসীমার নীচে বাস করেন। ২০২১ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে অতিরিক্ত (Mckinsey) ৫.৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করলেই ভারতে দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী মানুষ থাকবে না বললেই চলে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours