মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগে ভারতীয় হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সিইও হওয়া যেত না, এখন ভারতীয় না হলে আমেরিকাতে (India-US Relation) সিইও হওয়া যায় না। মজার ছলে এমনই দাবি করলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি। নিজেদের মেধা ও কর্ম দক্ষতার জোরে আজ ভারত এই জায়গায় পৌঁছেছে বলে জানান গারসেটি। ভারতীয় অভিবাসীরা আমেরিকার অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে বলে জানান গারসেটি।
কী বললেন গারসেটি
মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি বলেন, ভারতীয় অভিবাসীরা আমেরিকান ব্যবসায়িক বাস্তুতন্ত্রের একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। আমেরিকায় (India-US Relation) প্রতিটি ভাল ৫০০ কোম্পানির ১০টির মধ্যে একটির সিইও এখন ভারতীয়। তা সে মাইক্রোসফট হোক বা গুগল বা স্টারবাকস। গুগলের সুন্দর পিচাই, মাইক্রেসফটের সত্য নাদেলার কথা উল্লেখ করে গারসেটি বলেন, প্রযুক্তিগত ও গুণগত দিক দিয়ে দুই দেশ একে অপরকে সাহায্য করছে। আমেরিকার কাছে তাই ভারতের গুরুত্ব অনেক বেশি, জানালেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের মতে, আমেরিকাতে বহু ভারতীয়র বসবাস। তারা প্রতিদিনই আমেরিকার উন্নতিতে কাজ করছে। পাশাপাশি ভারতের বাজারেও বহু মার্কিন নাগরিক তাদের দায়িত্ব পালন করছে। ভারতে বিনিয়োগ করতে পেরে খুশি মার্কিন পুঁজিপতিরা। ভারতের বাজারে বিনিয়োগ করে তারাও লাভের মুখ দেখেছেন।
আরও পড়ুুন: দীর্ঘদিন ধরে চলে ফাঁদ পাতার কাজ! হিন্দু মহিলাদের কীভাবে টার্গেট করছে জেহাদিরা?
ভারতীয় ছাত্ররা আমেরিকারও সন্তান
পার্ডিউ ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অফ ভার্জিনিয়া, ইউনিভার্সিটি অফ পেনসিলভানিয়া, কর্নেল ইউনিভার্সিটি এবং ইউনিভার্সিটি অফ লস-এর মতো বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচিত একদল ভারতীয় ছাত্রের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে এখানে ‘আমেরিকান সেন্টার’-এ একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। অনেক শিক্ষার্থীও অনলাইনে এই কর্মসূচিতে অংশ নেয়। গারসেটি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংক্ষিপ্তভাবে কথা বলেন। সেখানেই তিনি নানা বিষয়ে মত দেন। প্রচুর সংখ্যক ভারতীয় ছাত্র আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যান। কিন্তু সম্প্রতি আমেরিকায় (India-US Relation) কিছু ভারতীয় ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনা তাতে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি এ প্রসঙ্গে ভারতীয় ছাত্রদের আশ্বস্ত করে বলেন যে ‘আমেরিকা একটি নিরাপদ দেশ এবং ভারতীয় ছাত্রদের প্রতি গভীরভাবে যত্নশীল’। পাশাপাশি তিনি শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের আশ্বস্ত করেছেন যে ‘আপনাদের সন্তানরা যখন আমেরিকায় থাকে তখন তারা আমাদের সন্তান।’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours