মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০৪৭ সালে হবে স্বাধীনতার শতবর্ষপূর্তি। তার ঠিক দুবছর আগে ভারতে কর্মক্ষম বয়সের (Working Age Population) জনসংখ্যায় অন্তত ১৭৯ মিলিয়ন মানুষ যুক্ত হবেন (Indias Workforce)। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক এক রিপোর্টেই এ খবর মিলেছে।
কর্মক্ষম বয়সের জনসংখ্যা (Indias Workforce)
বর্তমানে ভারতের কর্মক্ষম বয়সের জনসংখ্যা ৯৬১ মিলিয়ন। গত পাঁচ বছরের মধ্যে বেকারত্বের হার রয়েছে সর্বনিম্ন। বিনিয়োগ সংস্থা জেফারিজের মতে, ভারতের কর্মক্ষম বয়সের জনসংখ্যা (এঁদের বয়স ২৫ থেকে ৬৪ বছরের মধ্যে) মোট জনসংখ্যার একটি বড় অংশ হিসেবে বাড়ছে, যা সঞ্চয় ও বিনিয়োগের জন্যও ইতিবাচক হতে পারে। এই সমীক্ষা থেকেই জানা গিয়েছে, ভারতে নারী শ্রমশক্তির অংশগ্রহণের হারও বেড়েছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি শ্রমশক্তি সম্প্রসারণের অন্যতম চালিকা শক্তি হবে এই নারী শ্রমশক্তি।
কী বলছে জেফারিস?
জেফারিসের সাম্প্রতিক নোট থেকে জানা গিয়েছে (Indias Workforce), ২০৩০ সালের মধ্যে শ্রমশক্তির জোগান কমে হতে পারে ৬ মিলিয়ন। এই ফাঁক পূরণ হতে পারে কৃষি কর্মসংস্থান থেকে পরিবর্তনের মাধ্যমে। অগাস্টেই একটি তথ্য প্রকাশ করেছে পরিসংখ্যান মন্ত্রক। সেই তথ্য থেকেই জানা গিয়েছে, ভারতের শহরাঞ্চলে ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে এলএফপিআর ২০২৩ সালের এপ্রিল-জুন মাসে ছিল ৪৮.৮ শতাংশ। চলতি বছরের এপ্রিল-জুন মাসে সেটাই বেড়ে হয়েছে ৫০.১ শতাংশ। এই তথ্য দেশে কর্মসংস্থান বৃদ্ধিকে প্রতিফলিত করে।
প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, শহরাঞ্চলে ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী মহিলাদের জন্য এলপিএফআরও গত বছরের এপ্রিল-জুন মাসে ছিল ২৩.২ শতাংশ। চলতি বছরের এপ্রিল-জুন মাসে সেটাই বেড়ে হয়েছে ২৫.২ শতাংশ। আর একটি কর্মসংস্থান সূচক হল শ্রমিক জনসংখ্যার অনুপাত। ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তির মধ্যে শহরাঞ্চলে গত বছর এপ্রিল-জুন মাসে এই হার ছিল ৪৫.৫ শতাংশ। চলতি (Working Age Population) বছর এটাও বেড়েছে। হয়েছে ৪৬.৮ শতাংশ (Indias Workforce)।
আরও পড়ুন: সন্দীপ-অভিজিতের পর কি বিনীত গোয়েল? সিবিআই এবার এগচ্ছে মাথার দিকে
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours