মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গলছে নয়াদিল্লি (New Delhi)-কাবুল (Kabul) সম্পর্কের বরফ? আপাতত এই প্রশ্নটিই ঘুরপাক খাচ্ছে বিশ্ব রাজনৈতিক মহলে। তার কারণ চলতি সপ্তাহেই আফগানিস্তানের (Afghanistan) বিদেশমন্ত্রী তালিবান (Taliban) নেতা আমির খান মুত্তাকির সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। উজবেকিস্তানে সাংহাই কো-অপারেশনে অর্গানাইজেশনের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে উজবেকিস্তান উড়ে গিয়েছেন জয়শঙ্কর। সেখানেই বিদেশেমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের ফাঁকে মুখোমুখি বসতে পারেন দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী।
সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরে কাবুলে ভারতীয় দূতাবাস চালু করা নিয়ে তালিবান সরকারের সঙ্গে বৈঠকের ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। কিন্তু তা হয়নি। ইতিমধ্যে অবশ্য প্রবল ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয় আফগানিস্তানের বিস্তীর্ণ অংশ। তখন তড়িঘড়ি ত্রাণ নিয়ে তালিবান সরকারের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় নরেন্দ্র মোদির সরকার। সেই প্রেক্ষিতেই এবার দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। জয়শঙ্কর-মুত্তাকির বৈঠকে ভারতের মানবিক সাহায্যের বিষয়টিও উঠতে পারে বলে কূটনৈতিক মহল সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন :মূল্যবোধই ভারতের সম্পদ! অভিমত সামান্থার
সেপ্টেম্বর মাসের ১৫-১৬ তারিখে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে অনুষ্ঠিত হবে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের বার্ষিক সম্মেলন। এই সম্মেলনে মুখোমুখি হবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। মুখোমুখি হবেন আরও কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা। চিন, পাকিস্তান, রাশিয়া, ভারত, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, কিরগিজস্তান এবং কাজাখস্তান এই আটটি দেশ সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের পূর্ণ সদস্য। এই সম্মেলনের আগে শুরু হয়েছে এই দেশগুলির বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক।
জানা গিয়েছে, আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আসরাফ গনি সরকারের শাসনকালে সে দেশে বেশ কয়েকটি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ শুরু করেছিল ভারত। নির্বাচিত সরকারকে হঠিয়ে তালিবান সরকার ক্ষমতায় আসার পরে বন্ধ হয়ে যায় সেই কাজ। সেই কাজগুলি ফের যাতে শুরু করা যায়, সে ব্যাপারে জয়শঙ্করের কাছে আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রী দরবার করতে পারেন বলে খবর। এদিকে, ভারতের তরফেও এই বৈঠকে কয়েকটি বার্তা পৌঁছে দেওয়া হতে পারে কাবুলকে। সূত্রের খবর, আফগানিস্তানের মাটি থেকে ভারত বিরোধী কোনও কাজ যে নয়াদিল্লি সহ্য করবে না, সেই বার্তাও পৌঁছে দেওয়া হতে পারে দুই দেশ মুখোমুখি হলে।
আরও পড়ুন : এসসিও-র সম্মেলনে মুখোমুখি হবেন মোদি-শি জিনপিং, আলোচনা হবে সীমান্ত নিয়ে?
প্রসঙ্গত, তালিবানরা কাবুল দখল করার পর সেখানকার দূতাবাস বন্ধ করে দেয় নয়াদিল্লি। সম্প্রতি তা খোলার ব্যাপারে ফের সক্রিয় হয়েছে ভারত। সে দেশে পাঠনো হয় একটি প্রযুক্তি দলকেও। জুলাই মাসে বিদেশমন্ত্রকের যুগ্মসচিব জেপি সিংয়ের নেতৃত্বে আফগানিস্তানে একটি প্রতিনিধি দলও পাঠায় ভারত। তাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন মুত্তাকি।
+ There are no comments
Add yours