মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুষ্ঠানের পোশাকি নাম গেট টুগেদার। উদ্যোক্তা জামাত-ই-ইসলামি (Jamaat-e-Islami) হিন্দ। ওই অনুষ্ঠানে কোনও মুসলিম (Muslims) নয়, ডাকা হয়েছিল অ-মুসলিম সম্প্রদায়ের মহিলাদের। এঁদের মধ্যে যেমন কমবয়সীরা ছিলেন, তেমনি ছিলেন মধ্য বয়সীরাও। তেলঙ্গানার করিমনগর এলাকায় এই অনু্ষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে শুনে ততক্ষণাৎ পুলিশকে বিষয়টি দেখতে বলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP) কর্মকর্তারা। এরপর পুলিশ ওই অনুষ্ঠানের অনুমতি দিতে অস্বীকার করে। প্রত্যাশিতভাবেই বন্ধ হয়ে যায় অনুষ্ঠান।
খবরে প্রকাশ, করিমনগরের ওই গেট টুগেদার অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল ইসলামিক সংগঠন, জামাত-ই-ইসলামি (Jamaat-e-Islami) হিন্দ। সংগঠনের সদস্যরা চেয়েছিলেন গেট টুগেদারে অংশ নিন অ-মুসলিম মহিলারা। এজন্য তাঁরা ছাপিয়েছিলেন আমন্ত্রণপত্রও (Invitation Letter)। পরে সেটি ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঘটনায় ছড়ায় উত্তেজনা।
জামাত-ই-ইসলামি (Jamaat-e-Islami) হিন্দের এই অনুষ্ঠানের বিষয়টি নজরে আসে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের। ইসলামিক ওই সংগঠনের অনুষ্ঠান বন্ধে উদ্যোগী হয় তারা। করিমনগরের পুলিশকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বলা হয় সংঘের তরফে। পুলিশকে অনুষ্ঠানের অনুমতি না দিতেও অনুরোধ করা হয়। এও বলা হয়, এই গেট টুগেদারের ফল হতে পারে মারাত্মক। অশান্তির আশঙ্কায় তড়িঘড়ি অনুষ্ঠানস্থলে মোতায়েন করা হয় পুলিশ। যদিও তার আগেই এলাকায় ছড়ায় উত্তেজনা।
আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে জামাত অনুমোদিত স্কুল বন্ধ করল সরকার, কেন জানেন?
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP) শাখা গৌ রক্ষার সভাপতি ভুতুকুরু রাধাকৃষ্ণাণ রেড্ডির অভিযোগ, লাভ জিহাদের ফাঁদে ফেলার চেষ্টার অঙ্গ হিসেবেই আয়োজন করা হয়েছিল এমন একটি গেট টুগেদার অনুষ্ঠানের। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত এই অনুষ্ঠান হিন্দুদের আত্ম-শ্রদ্ধায় আঘাত হেনেছে। পুলিশ গেট টুগেদারের উদ্যোক্তা জামাত-ই-ইসলামি (Jamaat-e-Islami) হিন্দের সদস্যদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিক, চাইছেন রাধাকৃষ্ণাণ রেড্ডি। পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলার পাশাপাশি হিন্দু মহিলাদেরও কোনও মূল্যেই এমন অনুষ্ঠানে যোগ না দেওয়ার আর্জিও জানিয়েছেন তিনি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours