মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্থানীয় বাসিন্দারা যদি সন্ত্রাসকে মদত দেন বা বিদেশি সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দেন, তাঁদের সহযোগিতা করেন তাহলে তাঁদের ওপর শত্রু-এজেন্ট আইনের প্রয়োগ করা হবে। জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu Kashmir) পুলিশের ডিজিপি আরআর সোয়েন রবিবার এই কথা বলেন। গত দুই সপ্তাহে জম্মু ও কাশ্মীরে একাধিক সন্ত্রাসের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের শীর্ষ আধিকারিক এই মত ব্যক্ত করেন।
শত্রু-এজেন্ট আইন কী
রিয়াসি, ডোডা এবং কাঠুয়া জেলায় ৯ থেকে ১২ জুনের মধ্যে চারটি জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় শিব খোরি মন্দির থেকে ফিরে আসা সাতজন তীর্থযাত্রী এবং একজন সিআরপিএফ জওয়ান সহ দশজন নিহত এবং আরও অনেক লোক আহত হয়েছেন। কাঠুয়ায় একটি এনকাউন্টারে দুই পাকিস্তানি জঙ্গিও নিহত হয়েছে। শত্রু এজেন্ট আইন হল বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের চেয়ে অনেক বেশি কঠোর, এই আইনে একজন অভিযুক্তের শাস্তি হল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ড।
এই ধারায় শাস্তি
এই আইনটি ইউএপিএ-এর চেয়ে কঠোর। ডিজিপি আরআর সোয়েনের মতে যখন জঙ্গিরা এনকাউন্টারে নিহত হবে, তখন তাদের সাহায্যকারীদের সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরে কঠোরতম আইনের প্রয়োগ করা হবে। এই আইনে ধৃতদের বিচারের জন্য বিশেষ আদালত গঠন করা হবে।
আরও পড়ুন: হিজাব নিষিদ্ধ হয়ে গেল মুসলিম দেশ তাজিকিস্তানে!
ব্যর্থ অনুপ্রবেশের চেষ্টা
জম্মু ও কাশ্মীরে ফের ব্যর্থ হল অনুপ্রবেশের চেষ্টা (Infiltration bid foiled)। সেনা তৎপরতায় খতম হল কমপক্ষে দু-জন জঙ্গি। ঘটনাটি ঘটেছে জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) বারামুল্লা জেলার উরি সেক্টরের (Uri sector) লাইন অফ কন্ট্রোলে। সূত্রের খবর, শনিবার উত্তর কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) উরি সেক্টরের গোহাল্লান এলাকায় অবস্থিত লাইন অফ কন্ট্রোলে সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করেন সীমান্তে কর্তব্যরত সেনা জওয়ানরা। কয়েকজন সীমান্তের ওপার থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে বুঝতে পেরে হুঁশিয়ারি দেন। সেই সময় আচমকা গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেন সেনা জওয়ানরাও। দু-পক্ষের গুলি ছোঁড়াছুড়িতে কমপক্ষে ২ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours