Jharkhand: ডিলিস্টিংয়ের দাবিতে পথে নামলেন ঝাড়খণ্ডের জনজাতিরা

জনজাতি সুরক্ষা মঞ্চের ব্যানারে আন্দোলন ঝাড়খণ্ডে, কেন জানেন?...
jharkhanddocx_1_f
jharkhanddocx_1_f

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথক জেলার দাবিতে পথে নামলেন ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) জনজাতিরা। বুধবার থেকে পথে নেমেছেন তাঁরা। আন্দোলনকারীদের তরফে জেলা প্রশাসনকে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে। ডি-লিস্টিংয়ের দাবিও জানানো হয়েছে জনজাতিদের তরফে। রাজ্যের সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে জমা দেওয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে স্বর্ণ রিলিজিয়ন কোডের মতো একটি রেজলিউশন পাশ করতে। এটি কেন্দ্রীয় সরকারকে জমা দিতেও বলা হয়েছে।

জনজাতি সুরক্ষা মঞ্চের ব্যানারে আন্দোলন

জনজাতি সুরক্ষা মঞ্চের ব্যানারে আন্দোলন চলছে। ভারতজুড়ে ডিলিস্টিং এবং জনজাতিদের অবৈধ ধর্মান্তরিতকরণের দাবি (Jharkhand) জানিয়েছে জনজাতি সুরক্ষা মঞ্চ। জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের ২৪টি জেলায় আন্দোলনে নেমেছেন জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ। যে জেলাগুলিতে আন্দোলন হচ্ছে, সেগুলির মধ্যে রয়েছে গুমলা, হাজারিবাগ, সিমডেগা, বোকারো, ছাতরা এবং লাতেহারও। এই সব এলাকায় জনজাতি সম্প্রদায়ের হাজার হাজার মানুষ ডিলিস্টিংয়ের প্রতি সরকারি উদাসীনতায় সোচ্চার হয়েছেন।

বদলালো সমাবেশের দিন

এই দাবিতে লোহারদাগা ও রাজ্যের রাজধানী রাঁচিতে যে সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল, তা আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। ৯ ফেব্রুয়ারি এই সমাবেশ হওয়ার কথা। জনজাতি সুরক্ষা মঞ্চের জাতীয় মিডিয়া আহ্বায়ক শারদ চৌহানই এ খবর জানান। উল্লেখ্য যে, এর আগে উলগুলান ডি-লিস্টিং মহা সমাবেশের আয়োজন করেছিল জনজাতি সুরক্ষা মঞ্চ। গত ২৪ ডিসেম্বর রাঁচির মরহাবাদী গ্রাউন্ডে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। অংশ নিয়েছিলেন জনজাতি সম্প্রদায়ের বহু মানুষ। খ্রিস্টমাসের আগের দিন এত মানুষের ভিড় জানান দিয়েছিল, নিজেদের দাবিতে অনড় জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ।

আরও পড়ুুন: ভোটে কি দাঁড়াবেন না দেব! তিন সরকারি পদ থেকে ইস্তফা, জেলাজুড়ে শোরগোল

আন্দোলনকারীদের তরফে সোমা ওঁরাও বলেন, “আমরা রাজ্য সরকারকে জমা দেওয়া স্মারকলিপিতে বলেছিলাম স্বর্ণ কোডের মতো একটি রেজলিউশন পাশ করতে। যাতে জনজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে যাঁরা খ্রিস্টান কিংবা অন্য কোনও ধর্মে দীক্ষিত হয়েছেন, তাঁরা যেন সংরক্ষণের সুবিধা না পান।”

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় পাশ হয় স্বর্ণ রিলিজিয়ন কোড। গত জনগণনায় এঁদের গণনা করা হয়েছিল। পরে সেই তথ্য রাজ্যপালের মাধ্যমে কেন্দ্রের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনও এ ব্যাপারে চিঠি লিখেছিলেন (Jharkhand) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

 
 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles