মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁরা নিশানা হয়ে যেতে পারেন। তাই জামিন দিতে দ্বিধাগ্রস্ত হন। জেলাস্তরের বিচারকরা সচরাচর এটাই করেন। শনিবার একথা জানালেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud)। দিন কয়েক আগে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। এদিন বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার (Bar Council of India) তরফে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ার আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানেই জেলাস্তরের বিচারকদের মনোভাবের কথা তুলে ধরেন দেশের প্রধান বিচারপতি।
জেলাস্তরের বিচারব্যবস্থার নানা সমস্যা...
দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর একাধিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud)। প্রায় প্রতিটি অনুষ্ঠানেই নিয়ম করে তিনি তুলে ধরেছেন জেলাস্তরের বিচারব্যবস্থার নানা সমস্যার কথা। বারংবার তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, কতটা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে কাজ করতে হয় জেলাস্তরের আদালতগুলির বিচারকদের। এদিন ফের শোনা গেল সেই কথারই প্রতিধ্বনি।
দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud) বলেন, উচ্চ আদালতগুলি জামিনের আবেদনে ভরে উঠেছে। একেবারে তৃণমূলস্তরের বিচারকরা জামিন মঞ্জুর করতে সামগ্রিকভাবে অনিচ্ছুক থাকেন। কিন্তু কেন? এর কারণ এটা নয় যে, তাঁরা অপরাধের প্রকৃতি বুঝতে অপারগ। তিনি বলেন, আসলে জঘণ্য অপরাধের ক্ষেত্রে জামিন দিলে নিশানা হয়ে যেতে পারেন, এই ভয় তাঁরা পান। এদিন বার কাউন্সিলের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজুও।
আরও পড়ুন: রাজীব হত্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র, কেন জানেন?
প্রসঙ্গত, ৯ নভেম্বর দেশের ৫০তম বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud)। এই পদে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রধান বিচারপতি হিসেবে তাঁর নাম প্রস্তাব করেছিলেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত। নভেম্বরের ৮ তারিখে অবসর নেন তিনি।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud) ২০১৬ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে নিযুক্ত হওয়ার আগে ২০১৩ সালে, এলাহাবাদ আদালতের প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি ২০০০ সালে, বম্বে হাইকোর্টের বিচারক ছিলেন। এর আগে ১৯৯৮ সালে বম্বে এইচসি দ্বারা সিনিয়র অ্যাডভোকেট হিসাবে মনোনীত হন ও তিনি ভারতের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল হিসেবেও নিযুক্ত হন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours