মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুয়ো সংস্থার ডিরেক্টর হিসেবে এতদিন পর্যন্ত জ্যোতিপ্রিয়র মেয়ে এবং স্ত্রীর নাম উঠে এসেছিল। এবার আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার। জানা গিয়েছে, তিনটি সন্দেহভাজন শেল কোম্পানির (Ration Scam) ডিরেক্টর হিসেবে জ্যোতিপ্রিয় কখনও নিজের শাশুড়ি, কখনও নিজের আপ্তসহায়কের ঘনিষ্ঠকে, আবার কখনও নিজের শ্যালককে দেখিয়েছিলেন। মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ ৯ জন এই তিন সন্দেহভাজন শেল কোম্পানির ডিরেক্টর ছিলেন। এখন এই ৯ জন ইডির আতস কাচের তলায়।
শেল কোম্পানিগুলিতে জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠদের ডিরেক্টর পদের সময়কাল
ইডির দাবি, 'গ্রসিয়াস ক্রিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেড' এর ডিরেক্টর ছিলেন জ্যোতিপ্রিয়র শাশুড়ি। ঘটনাক্রমে, তিনি বর্তমানে জীবিত নেই। প্রয়াত অঞ্জলি সেন ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ওই কোম্পানি ডিরেক্টর পদে ছিলেন। পাশাপাশি জ্যোতিপ্রিয়র আপ্ত-সহায়ক ঘনিষ্ঠ রণিত 'গ্রসিয়াস ইনোভেটিভ প্রাইভেট লিমিটেড', 'হনুমান রিয়েলকন প্রাইভেট লিমিটেড', 'গ্রসিয়াস ক্রিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেড', এই তিনটি কোম্পানির ডিরেক্টর ছিলেন। ইডি সূত্রে যে তথ্য সামনে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০১৭ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ওই কোম্পানিগুলির ডিরেক্টর ছিলেন রণিত। অন্যদিকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের শ্যালক অশোককুমার সেন 'গ্রসিয়াস ইনোভেটিভ প্রাইভেট লিমিটেড' কোম্পানির (Ration Scam) ডিরেক্টর ছিলেন ২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত। অশোক সেন 'হনুমান রিয়েলকন প্রাইভেট লিমিটেডে'র ডিরেক্টর ছিলেন ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত।
আরও ৪ নতুন কোম্পানি ইডির র্যাডারে
অন্যদিকে, রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে (Ration Scam) তিনটি শেল কোম্পানি ছাড়াও গোয়েন্দাদের নজরে রয়েছে আরও চারটি নতুন কোম্পানি। এই কোম্পানিগুলির ডিরেক্টর পদে নাম রয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তন আপ্ত-সহায়ক অভিজিৎ দাস ও তার স্ত্রী সুকন্যা দাসের। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, কালো টাকার সাদা করতেই এই সমস্ত কোম্পানিগুলোকে খোলা হয়েছিল। নতুন যে চারটি কোম্পানির হদিশ গোয়েন্দারা পেয়েছেন, সেখানে দেখা যাচ্ছে তিনটি কোম্পানির ঠিকানা কলকাতার স্ট্র্যান্ড রোডে আর চতুর্থ কোম্পানির ঠিকানা হাওড়ায়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours