মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রেফতার হওয়ার পর এবার কি কেষ্টর মতো জেলার সংগঠন থেকে ডানা ছাঁটা হবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick)? তৃণমূল কংগ্রেস ২৪ পরগনা জেলাকে লোকসভা ভিত্তিক সাংগঠনিক ভাগ করেছে। উল্লেখ্য, কোনও ভাগের বিশেষ দায়িত্বে রাখা হয়নি তাঁকে। কেন? খাদ্য দফতর থেকে তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ বন দফতরেও কি পরিকল্পনা করেই সারানো হয়েছিল তাঁকে? আগামী দিনে দলে কি গুরুত্ব আরও কমবে? এই ধরনের নানা জল্পনা চলছে। প্রশ্ন উঠছে, শেষ পর্যন্ত দল পাশে থাকবে তো?
কেষ্টর মতো কি অপ্রাসঙ্গিক হবেন জ্যোতিপ্রিয়ও (Jyotipriya Mallick)?
উত্তর ২৪ পরগনায় দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করে এসেছেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গী হয়ে, সিপিএমের বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ঠিক একই রকমভাবে, বীরভূমের রাজনীতিতে শিরোনামে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। যদিও কয়লা, গরু পাচারকাণ্ডে সিবিআই-ইডির হাতে গ্রেফতার হয়ে দিল্লির তিহাড় জেলে রয়েছেন কেষ্ট। দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় ধরে জেলে রয়েছেন তিনি। দিন যত এগিয়ে যাচ্ছে, বীরভূমের রাজনীতি থেকে ক্রমশ অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল। ফলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, উত্তর ২৪ পরগনা থেকে এবার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও অপ্রাসঙ্গিক হবেন। কারণ খাদ্য বণ্টন দুর্নীতির মামলায় ইডি তাঁকে গ্রেফতার করেছে। দল এবার তাঁর মাথা থেকেও হাত সরিয়ে নেবে।
জেলায় শেষ কথা বলতেন
জ্যোতিপ্রিয় (Jyotipriya Mallick) নিজে ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে এসেছিলেন। তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই প্রথম সারির নেতা ছিলেন তিনি। ২০০১ সালে প্রথম বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীকে। ২০০৬ সাল থেকে উত্তর ২৪ পরগনার জেলা রাজনীতির ময়দানে অদ্বিতীয় ব্যক্তি ছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। এমনকি তাঁর কথা ছাড়া, জেলার রাজনীতিতে একটা গাছের পাতাও নড়ত না বলে জানা যায়।
তৃণমূলের বক্তব্য
পদাধিকার বলে জ্যোতিপ্রিয় (Jyotipriya Mallick) কোণঠাসা হলেও, উত্তর ২৪ পরগনার সংগঠনে তাঁর বেশ প্রভাব রয়েছে বলে মনে করছেন জেলা তৃণমূলের একাংশের মানুষ। এই জেলায় মতুয়া সম্প্রদায়ের একটি বিরাট ভোট ব্যাঙ্ক রয়েছে। আর তাকে প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে, তাঁর ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বলা হয়ে থাকে, একটা সময় পর্যন্ত মুকুল রায় অতি সক্রিয় থাকলেও, তাঁর প্রতাপের সামনে কেউ জেলায় হাত দিতে পারতেন না। অবশ্য বরানগরের বিধায়ক তথা ব্যারাকপুর জেলার তৃণমূল সভাপতি তাপস রায় বলেন, “সমর্থকরা প্রতিবাদে আরও শক্তিশালী হবেন। তৃণমূল দলের সংগঠন দুর্বল হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। জেলার সংগঠন পিছু হটবে না। আমরা আরও লড়াই করবো।”
কিন্তু মন্ত্রীর দফতর বদল থেকে শুরু করে সাংগঠনিক দায়িত্ব এবং ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর কি আরও গুরুত্ব কমবে? এটাই এখন বড় প্রশ্ন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours