মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রাবণ মাসের কৃষ্ণ একাদশী কামিকা একাদশী নামে পরিচিত। শ্রাবণ মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী তিথিতে এই একাদশী ব্রত পালিত হয়। চলতি বছর ২৪ জুলাই, বুধবার এই একাদশী ব্রত পালিত হবে। বিষ্ণুকে সমর্পিত এই একাদশী ব্রত। এদিন বিধি মেনে বিষ্ণুর পুজো করা হয়। মনে করা হয় বিষ্ণুর আশীর্বাদে ব্যক্তি সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হয় এবং সমস্ত মনোস্কামনা পূর্ণ হয়।
কামিকা একাদশীর শুভক্ষণ
একাদশী তিথি শুরু- ২৩ জুলাই, শনিবার, দুপুর ১টা ৩৯ মিনিটে।
একাদশী তিথি সমাপ্ত- ২৪ জুলাই, রবিবার, দুপুর ২টে ৫৭ মিনিটে।
একাদশী তিথি পরনার সময়- ২৪ জুলাই সকাল ৫টা ৩৮ মিনিট থেকে সকাল ৮টা ২১ মিনিটের মধ্যে।
আরও পড়ুন: পুজোয় মঙ্গল ঘট কেন স্থাপন করা হয়, জানেন?
কামিকা একাদশীর মাহাত্ম্য
হিন্দুশাস্ত্র মতে বলা হয়ে থাকে, মহাভারতে শ্রীকৃষ্ণ ধর্মরাজ যুধিষ্ঠিরকে এই কামিকা একাদশী তিথির মাহাত্ম্য ব্যাখ্যা করে শুনিয়েছিলেন। শ্রীকৃষ্ণ বলেছিলেন, এইদিনে ভক্তরা যদি শুদ্ধ মনে ভগবান বিষ্ণুর আরাধনা করেন তবে ভক্তের জীবনের সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি পাবে এবং দুঃখভোগ থেকে ভক্তের নিস্কৃতি লাভ হবে।
এই একাদশী করলে সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ হয়। ব্যক্তির পাপমুক্তি ঘটে। কৃষ্ণ ধর্মরাজ যুধিষ্ঠিরকে এই একাদশীর মাহাত্ম্য ব্যাখ্যা করেছিলেন। কামিকা একাদশীর দিনে পুজো শেষ হলে বিষ্ণুর আরতি করতে ভুলবেন না। মনে করা হয়, পুজোর পর আরতি করলে পুজোয় যে ভুল হয়ে থাকে, তার ক্ষমা লাভ করা যায় এবং পুজোর পূর্ণ ফল পাওয়া যায়।
বিশ্বাস করা হয়, এই ব্রত পালনের মাধ্যমে ব্যক্তির সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়। যারা নিজেদের পাপ সম্পর্কে ভয় পায়, তাদের অবশ্যই এই ব্রত করা উচিত। পাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য একাদশী ব্রতের চেয়ে ভাল আর কোনও দ্বিতীয় উপায় নেই। একাদশীর দিন ভগবান বিষ্ণুর পূজা করা অত্যন্ত লাভদায়ক।
আরও পড়ুন: প্রদীপের মুখ কোনদিকে থাকা উচিত? নিয়মগুলি না জানলে হতে পারে অমঙ্গল!
কামিকা একাদশীর তিথির পুজাবিধি
কামিকা একাদশীর দিন যারা ব্রত করবেন, তাদের খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে পরিষ্কার বস্ত্র পরিধান করা উচিত। প্রথমে ব্রতের সংকল্প গ্রহণ করুন এবং চারিদিকে গঙ্গাজল ছিটিয়ে ও গঙ্গাজল দিয়ে পূজার স্থান শুদ্ধ করে নিন। এই দিনে ভগবান বিষ্ণুর পুজো করা হয়। দুধ, পঞ্চামৃত, ফল, হলুদ ফুল, তিল, ইত্যাদি শ্রীহরিকে অর্পণ করুন। এই দিন বেশির ভাগ সময় ভগবান বিষ্ণুর নাম স্মরণ করে ব্যয় করুন। এই দিনে ব্রাহ্মণ ভোজন করান এবং দক্ষিণা দিন। যদি এটি সম্ভব না হয়, তাহলে আপনার সাধ্যমতো অভাবীদের সাহায্য করুন। একাদশীর পূজায় বিষ্ণু সহস্রনাম পাঠ অবশ্যই করুন।
এরপর ব্রতকারীরা ফলমূল, নিরামিষ ভোজন বা অরন্ধ্রনজাত খাবার খেয়ে ব্রত ভাঙ্গতে পারেন।
+ There are no comments
Add yours