Karnataka Assembly Elections: কর্নাটকে সংরক্ষণ কোটায় বদল, বাদ পড়লেন মুসলিমরা

রাজ্যে আসন সংরক্ষণ ৫০ থেকে বাড়িয়ে করা হল ৫৭ শতাংশ...
karnataka_cm_f
karnataka_cm_f

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংরক্ষণ কোটায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনল কর্নাটকের বিজেপি (BJP) সরকার। মাসখানেক পরেই কর্নাটক বিধানসভার নির্বাচন (Karnataka Assembly Elections)। তার ঠিক আগেই রাজ্যে আসন সংরক্ষণ ৫০ থেকে বাড়িয়ে করা হল ৫৭ শতাংশ। তুলে নেওয়া হল মুসলমানদের জন্য বরাদ্দ ৪ শতাংশ কোটা। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের জেরে এবার থেকে আর অনগ্রসর শ্রেণি হিসেবে সংরক্ষণের সুবিধা নিতে পারবেন না মুসলিমরা। কর্নাটকে অনগ্রসর শ্রেণির জন্য বরাদ্দ সংরক্ষণে এতদিন অন্তর্ভুক্ত ছিলেন রাজ্যের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষও। কিন্তু শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই মুসলিমদের জন্য বরাদ্দ সংরক্ষণ প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন।

সংরক্ষণের হার...

মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর কর্নাটকে সংরক্ষণের হার গিয়ে ঠেকল ৫৭ শতাংশে। যদিও সুপ্রিম কোর্ট তা বেঁধে দিয়েছিল ৫০ শতাংশে। কর্নাটক সরকারকে সেই মতো সংরক্ষণের (Karnataka Assembly Elections) হার কমিয়ে ৫০ শতাংশ বা তার নীচে নিয়ে আসতে বলা হয়েছিল। সেই সংক্রান্ত একটি মামলাও ঝুলছে কর্নাটক হাইকোর্টে। আদালতের সেই রায়ের জন্য অপেক্ষা না করেই সংরক্ষণের হারে রদবদল ঘটাল কর্নাটক সরকার।  

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। মন্ত্রিসভার শাখা কমিটি সংরক্ষণের বিভাগে রদবদল ঘটানোর সুপারিশ করেছিল। তা মেনে নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণিকে আপাতত অনগ্রসর শ্রেণি ও আরও অনগ্রসর শ্রেণি এই দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

আরও পড়ুুন: DA: তোলা হল অনশন, বকেয়া ডিএ-র দাবিতে চলবে আন্দোলন, সাফ জানাল মঞ্চ

জানা গিয়েছে, রদবদলের (Karnataka Assembly Elections) পর ভোক্কালিগাদের জন্য বরাদ্দ সংরক্ষণ বাড়িয়ে ৫ থেকে ৬ শতাংশ করা হয়েছে। পঞ্চমশালী, বীরশৈব এবং লিঙ্গায়েতদের ক্ষেত্রেও ৫ থেকে সংরক্ষণের হার বেড়ে হয়েছে ৭ শতাংশ। কর্নাটক সরকার তফশিলি জাতির জন্য সংরক্ষণ ১৫ থেকে বাড়িয়ে করেছে ১৭ শতাংশে। তফশিলি উপজাতিদের সংরক্ষণ ৩ থেকে বেড়ে হয়েছে ৭ শতাংশ।

পুরাতন মহীশূরের ভোক্কালিকা সম্প্রদায়ের বিশ্বাস, অষ্টাদশ শতকে মহীশূরের শাসক টিপু সুলতানকে ব্রিটিশ বা মারাঠিরা হত্যা করেনি। তাদের দুই নেতা উরি গৌড়া ও নানজে গৌড়ার হাতেই মৃত্যু হয় টিপুর। ভোক্কালিগাদের সেই বিশ্বাসকে সমর্থন করেছে বিজেপিও। যদিও ইতিহাসবিদদের দাবি, উরি গৌড়া ও নানজে গৌড়া বলে বাস্তবে কেউ ছিলেন না, দুটিই কাল্পনিক চরিত্র।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles