Karnataka High Court: হিন্দু মহিলাকে ধর্ষণ ও ধর্মান্তকরণ, মুসলিম যুবকের জামিন খারিজ হাইকোর্টে

Hindu Dalit Woman: কর্নাটকে হিন্দু দলিত মহিলাকে ধর্ষণ ও জোর করে ধর্মান্তকরণের অভিযোগে ধৃত মুসলিম যুবক...
High-Court-of-Karnataka-on-hijab-row-controversyjpg
High-Court-of-Karnataka-on-hijab-row-controversyjpg

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথমে এক ২৮ বছর বয়সি দলিত মহিলাকে দিনের পর দিন ধর্ষণ, আর তারপর তাঁকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করা— এই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় কর্নাটকের বেলগাভির ৩৩ বছর বয়সি মুসলিম যুবক রফিককে। এই মামলাতে অভিযুক্তের জামিন খারিজ করল কর্নাটক হাইকোর্ট (Karnataka High Court)। এই মামলায় বিচারপতি বলেন, ‘‘ধর্ষিতা মহিলার (Hindu Dalit Woman) যা মানসিক অবস্থা, তাতে অভিযুক্তকে জামিন দেওয়া একেবারেই অনুচিত।’’ জানা গিয়েছে, তেত্রিশ বছর বয়সি রফিকের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার বিভিন্ন ধারা, 'কর্নাটক প্রোটেকশন অফ রাইট টু রিলিজিয়ন', 'তফশিলি জাতি-তফশিলি উপজাতি' আইনের বিভিন্ন ধারা লাগু করা হয়েছে।

ওই ধর্ষিতা মহিলা বর্তমানে দুই সন্তানের মা (Karnataka High Court) 

প্রসঙ্গত, গত মে মাসেই নিম্ন আদালতে রফিকের জামিন খারিজ হয়। এরপরেই অভিযুক্ত উচ্চ আদালতে আবেদন করে। জানা গিয়েছে, রফিক পেশায় কৃষক। এদিন কর্নাটক হাইকোর্ট  (Karnataka High Court) আরও জানিয়েছে যে, জামিনের আবেদন বিবেচনা করার সময়, অপরাধের ধরন-প্রকৃতি, সেই অপরাধের সমাজে কী প্রভাব পড়ছে - এই বিষয়গুলি বিবেচনা করা দরকার। জানা গিয়েছে, ওই ধর্ষিতা মহিলা বর্তমানে দুই সন্তানের মা। ২০১৩ সালেই তাঁর বিয়ে হয়েছিল। নির্যাতিতার একটি দোকান ছিল এবং সেখানেই রফিক প্রথমে ঘনঘন যাতায়াত করত। এরপরেই গড়ে ওঠে বন্ধুত্ব। পরে নির্যাতিতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে ফেলে রফিক। এরপরেই নির্যাতিতাকে ব্যাঙ্কে চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁর ওপরে যৌন নির্যাতন চালায় রফিক। হিন্দু দলিত মহিলাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেয়। নির্যাতিতার স্বামী এই ঘটনা জানতে পেরে জানতে পেরে তাঁকে বাপের বাড়িতে ফেরত পাঠান।

ভাড়া বাড়ি থেকে কোনওরকমে পালিয়ে যান ওই হিন্দু মহিলা

এরপরেই রফিক হুমকি দিতে থাকে যে, যদি ওই মহিলা তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক না করেন, তাহলে সে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে ছবি ও ভিডিও সমস্ত কিছুই সে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে দেবে। জানা যায়, তারপরে বেলগাভির একটি ভাড়া বাড়িতে ওই মহিলাকে (Hindu Dalit Woman) বন্দি করে তাঁকে জোর করে ধর্মান্তরিত করে রফিক। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে বাধ্য করা হয়। তাঁকে নামাজ পড়ানো হয় এবং ইসলামিক রীতিনীতি  (Karnataka High Court) মেনে চলতে চাপ দেওয়া হয়। ওই ভাড়া বাড়িতেই তাঁকে নিয়মিত ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এরপরেই ওই মহিলা ভাড়া বাড়ি থেকে কোনওরকমে পালিয়ে যান। পরবর্তীকালে রফিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles