Krishna Nagar: ‘আমার দিদিকে মেরে ফেলেছে’, রক্ত দিয়ে লিখে কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে প্রতিবাদ বোনের

চিকিৎসার গাফিলতিতে মৃত্যু! হাসপাতালে যুবতীর অভিনব প্রতিবাদে হতবাক সকলে
Krishna_Nagar_(1)
Krishna_Nagar_(1)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার গাফলতিতে রোগীমৃত্যুর ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। পরিবারের লোকজন কখনও বিক্ষোভ দেখান, কখনও আবার চিকিৎসার গাফলতির অভিযোগ এনে হাসপাতাল ভাঙচুর করেন। কিন্তু, নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরের (Krishna Nagar) শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে রোগীমৃত্যুর ঘটনায় কর্তৃপক্ষকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে মৃতের বোন যা করলেন, এমন শিউরে দেওয়ার মতো দৃশ্য দেখে কার্যত হতবাক হাসপাতালের অন্যান্য রোগীর পরিবারের লোকজন।

ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Krishna Nagar)

শনিবার জ্বর নিয়ে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি হন কৃষ্ণনগরের (Krishna Nagar) হাতাড়পাড়ার বাসিন্দা পূজা সরকার। পরিবারের অভিযোগ, এরপর থেকে একরকম বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয় পূজাকে। রবিবার সকালে শরীর আরও খারাপ হয়। পরিবারের লোকজনের দাবি, একটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। তারপরই নেতিয়ে পড়েন পূজা। এদিকে মেজদিদির মৃত্যুর খবরে ছোট বোন শিউলি হাসপাতাল চত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এরপরই হাতে ব্লেড তুলে নেন বলে অভিযোগ প্রত্যক্ষদর্শীদের। ব্লেড দিয়ে আঙুল চিরে সাদা কাগজে রক্তে লেখেন, ‘আমার দিদিকে মেরে ফেলেছে'। ভয়ঙ্কর এই দৃশ্য দেখে ভিড় জমে যায় হাসপাতাল চত্বরে। কোনওভাবেই তাঁকে আটকানো যাচ্ছিল না। বছর ২০-র যুবতী বারবার বলে চলেছেন, ‘আমার দিদিকে কেন মারল, ওদের জবাব দিতে হবে।' কেউ ব্লেডটা ফেলে দিতে বললেই, যুবতী পাল্টা বলে উঠছেন, ‘দেখি কে আমার হাত থেকে ব্লেডটা কাড়তে পারে!' এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পুলিশ বলে, লিখিত আকারে হাসপাতাল সুপার, সিএমওএইচকে অভিযোগ জানাতে। সেই অভিযোগপত্রই থানায়ও পাঠিয়ে দিতে বলেন তিনি। এ বিষয়ে এখনও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তবে, এভাবে রক্তে প্রতিবাদ নজিরবিহীন বলছেন স্থানীয়রা।

পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?

পূজার বড়দিদি বন্দনা দাস বলেন, আমার মেজবোন জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। জ্বরের কষ্টে তিন-চারদিন ঘুম হয়নি। তারপর একটা ইঞ্জেকশন দিয়েছে ডাক্তার। তিনি নিজে বলেছেন এটা ঘুমের ইঞ্জেকশন। তারপরই আর বোনের জ্ঞান ফেরেনি। আমরা জানতে চাই ঘুমের ইঞ্জেকশন দিয়েই কি সারা জীবনের মতো ঘুম পাড়িয়ে দিল? আমরা এর জবাব চাই।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles