মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছরের বিভিন্ন সময়ে অমাবস্যা তিথিতে কালীপুজো দেখা যায়। তবে কার্তিক মাসের দীপান্বিতা কালীপুজো (Kali Puja 2023) সবথেকে প্রসিদ্ধ। আয়োজন, জাঁকজমক, ধুমধাম সবদিক থেকেই বেশ জনপ্রিয় দ্বীপান্বিতা কালীপুজো। জাগ্রত কালী মন্দিরগুলিতে কার্তিকী অমাবস্যায় ভক্তদের ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা যায়। কালী আরধনা বা কালী সাধনা বললেই উঠে আসে দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণী মন্দির। কামারপুকুরের গদাধর চট্টোপাধ্যায় এখানেই রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব হয়েছিলেন। কথিত আছে, হুগলি নদীর তীরে অবস্থিত এই দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠা করেন রানি রাসমণি, সেটা ছিল ১৮৫৫ সালের ৩১ মে।
দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরের অধিষ্ঠাত্রীদেবী 'ভবতারিণী'
এখানে কালী মন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী ভবতারিণী নামে প্রসিদ্ধ। জনশ্রুতি রয়েছে, রানি রাসমণি মা কালীর স্বপ্নাদেশ পেয়েই এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন এবং মন্দির প্রতিষ্ঠা কালে রানিকে সব থেকে বেশি সাহায্য করেছিলেন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের দাদা রামকুমার চট্টোপাধ্যায়। পরবর্তীকালে রামকুমার চট্টোপাধ্যায় দক্ষিণেশ্বরের কালীমন্দিরের (Kali Puja 2023) প্রধান পুরোহিত হন। রামকুমারের হাত ধরেই কামারপুকুরের গদাধর চট্টোপাধ্যায়ের প্রবেশ ঘটে। দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরের দায়িত্বভার গ্রহণ করার পরে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের আকর্ষণে এক মহাতীর্থে পরিণত হয় ভবতারিণী মন্দির।
তরুণ নরেনের রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের সঙ্গে সাক্ষাৎ
এখানেই আগমন ঘটে নরেন্দ্রনাথ দত্তের যিনি পরবর্তীকালে স্বামী বিবেকানন্দ হবেন। তরুণ নরেন্দ্রনাথ দত্ত সাংসারিক অনটনে ভুগছেন তখন। এমনই সময় রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব তাঁকে পাঠালেন ভবতারিণীর সামনে। অর্থ কষ্ট মেটানোর প্রার্থনা করতে বললেন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব। ভবতারিণীর সামনে নরেন্দ্রনাথ দত্ত চাইলেন বিবেক, বৈরাগ্য, জ্ঞান এবং ভক্তি। দক্ষিণেশ্বরে কালীমন্দির (Kali Puja 2023) চত্বরে একাধিক দেবদেবীর মন্দিরও রয়েছে। দ্বাদশ শিবমন্দির নামে পরিচিত রয়েছে বারটি আটচালার মন্দির। মন্দিরের উত্তর দিকে রয়েছে রাধাকান্ত মন্দির, দক্ষিণে রয়েছে নাটমন্দির। উত্তর-পশ্চিম কোণে রয়েছে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের বাসগৃহ। বছরের সারাবছর ধরেই ভক্তদের ভিড় লেগেই থাকে মন্দিরে। তবে কালীপুজো এবং কল্পতরু উৎসবে বিপুল জনসমাগম ঘটে এখানে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours