Kashmiri Pandits: “হয় কাশ্মীর ছাড়ো, নয় মরো”, পণ্ডিতদের হুমকি-চিঠি জঙ্গিদের

কাশ্মিরী পণ্ডিত রাহুল ভাটের হত্যার প্রতিশোধ নিতে নিরাপত্তা বাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে...
ks_f
ks_f

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হয় কাশ্মীর (Kashmir) ছাড়ো, নয় মরো! কাশ্মীরি পণ্ডিতদের (Kashmiri Pandits) এই হুমকি চিঠি দিয়েছে জঙ্গি সংগঠন লস্কর-এ-ইসলাম (Lashkar-e-Islam)। যার জেরে ভূস্বর্গে ফের জাঁকিয়ে বসেছে ভয়। এদিকে পরিস্থিতির মোকাবিলায় "পিপলস অ্যালায়েন্স ফর গুপকার" (PAGD) সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা।

বৃহস্পতিবার ভরদুপুরে কাশ্মীরের বদগাম জেলার চাদুরা শহরে পণ্ডিত সম্প্রয়াদের এক সরকারি কর্মীকে অফিসে ঢুকে গুলি করে খুন করে জঙ্গিরা। রাহুল ভাট (Rahul Bhatt) নামের ওই সরকারি কর্মীর হত্যার দায় স্বীকার করে কাশ্মীর টাইগার্স নামে এক জঙ্গি সংগঠন। ঘটনার প্রতিবাদে এবং অবলিম্বে জঙ্গিদের গ্রেফতারির দাবিতে বিক্ষোভ দেখান কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। সেই ঘটনার রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই ফের জঙ্গি সংগঠনের হুমকি চিঠি। কাশ্মীরের পুলওয়ামার হালওয়ায় একটি শরণার্থী কলোনিতে থাকেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। রবিবার হুমকি চিঠি আসে সেখানেই। হালওয়ার শরণার্থী কলোনির সভাপতিকে লেখা ছোট্ট একটি চিঠিতে দেওয়া হয়েছে খুনের হুমকি।

লস্কর-ই-ইসলামের লেটারহেড সম্বলিত ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে, "সমস্ত শরণার্থী এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) প্রতিনিধিদের বলছি, হয় কাশ্মীর ছেড়ে চলে যাও নয়তো মৃত্যুর মুখোমুখি হও! যে সমস্ত কাশ্মীরি পণ্ডিতরা কাশ্মীরকে ইজরায়েল বানাতে চায়, এখানকার মুসলিমদের খুন করতে চায়, তাদের কাশ্মীরে জায়গা নেই। ওই চিঠিতে জঙ্গিরা জানিয়েছে, চাইলে এই পণ্ডিতরা নিজেদের নিরাপত্তা দ্বিগুণ এমনকি তিনগুণও করে নিতে পারেন, কিন্তু তাতে লাভ হবে না।" চিঠির শেষ লাইনে লেখা, তোমরা মরবেই।

আরও পড়ুন : অফিসে ঢুকে গুলি করে খুন কাশ্মীরি পণ্ডিতকে, ফের অশান্ত ভূস্বর্গ

ঘটনার পর জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা পিপলস অ্যালায়েন্স ফর গুপকার সংগঠনের (people’s Alliance for Gupkar declaration) সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল কনফারেন্স (National Conference) প্রধান ফারুক আবদুল্লাহ (Farooq Abdulla), পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি প্রধান মেহবুবা মুফতি (Mehbooba Mufti), সিপিআই(এম) নেতা এম ওয়াই তারিগামি (Tarigami), এনসি এমপি হাসনাইন মাসুদি ও আওয়ামী ন্যাশনেল কনফারেন্সের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মুজাফফর শাহ। ওই বৈঠকে মনোজ  জানান, উপত্যকায় নিরপরাধদের হত্যার প্রতিশোধ নিতে নিরাপত্তা বাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। উপত্যকার কাশ্মীরি পণ্ডিত সম্প্রদায়ের সরকারি কর্মচারীদের আবাসিক এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হবে বলেও জানান তিনি।

নয়ের দশকে নির্বিচারে হিন্দু পণ্ডিতদের খুন করেছিল জঙ্গিরা। ভয়ে উপত্যকা ছাড়েন পণ্ডিতরা। ২০১৪ সালে কেন্দ্রের তখতে বসেই কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হয় নরেন্দ্র মোদির (Modi) সরকার। উনিশে ফের ক্ষমতায় এসে কাশ্মীর থেকে রদ করে ৩৭০ ধারা (Article 370)। তার পর আক্ষরিক অর্থেই ভূস্বর্গ হয়ে উঠেছিল কাশ্মীর। পাকিস্তানে (Pakistan) পট পরিবর্তনের পর ফের শুরু হয়েছে বিক্ষিপ্ত হিংসা।

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles