মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ষষ্ঠ দফা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) দিনে উত্তপ্ত পরিস্থিতি হয় পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারীর সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক বচসা হয়। একাধিক বুথে গেলে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে তাঁর কথা কাটাকাটি হয়। সেই সঙ্গে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে বিক্ষোভ দেখায়। সৌমেন্দু অবশ্য পর্যাপ্ত বাহিনী না থাকার অভিযোগ করেন। অপর দিকে তমলুক, মেদিনীপুর, ঘাটাল, ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীদের তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা একাধিক বার হামলা করার চেষ্টা করেছে বলে বিজেপি অভিযোগ তুলেছে। একাধিক বুথে বিজেপির এজেন্টদের ঢুকতে বাধা, বুথে বসতে না দেওয়া এবং বুথের বাইরে অবৈধ জমায়েত করার মতো ঘটনা ঘটেছে। অবশ্য অশান্তি মূলের তৃণমূলকে দায়ী করেছে বিজেপি।
কী বললেন সৌমেন্দু (Lok Sabha Election 2024)?
ভোটের দিন (Lok Sabha Election 2024) তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে অশান্তি করার অভিযোগ তুলে সৌমেন্দু বলেন, “বুথে বুথে তৃণমূলের হার্মাদরা দৌরাত্ম্য চালাচ্ছে। বাহিনী কী করবে কী করবে না তা কী ওরা ঠিক করবে? বুথের সামনে ব্যাপক অবৈধ জমায়েত করা হচ্ছে। সকলের ভোটার আইডি দেখা হোক। আমি এখানকার প্রার্থী, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে কিনা, তাই দেখতে এসেছি।”
তৃণমূলের বক্তব্য
পাল্টা স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা জানিয়েছেন, “বুথে বাহিনী অতি সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। যারা ভোট (Lok Sabha Election 2024) দিচ্ছে তাদের সঙ্গে সঙ্গে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাহিনীর লোকজন বিজেপি নেতাদের বাইকে করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে না।”
আরও পড়ুনঃমেদিনীপুর কেন্দ্রে ভোটের দিনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রণং দেহি মুডে অগ্নিমিত্রা
আমার ভোট বিকশিত ভারতের জন্য
নন্দীগ্রামে ভোট দিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা সৌমেন্দুর দাদা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ভোটাধিকার (Lok Sabha Election 2024) আমাদের অধিকার। আমি আমার ভোট বিকশিত ভারতের জন্য মোদি জি-কে ভোট দিলাম। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী করেছেন। তিনি তৃণমূলের অনেক চোরকে জেলে পাঠিয়েছেন। এই এলাকায় আরও বৃহত্তর উন্নয়নের জন্য বিজেপিকে দরকার। এই এলাকায় তৃণমূল সাফ হয়ে গিয়েছে। ২০০ টির বেশি বুথে তৃণমূল এজেন্ট খুঁজে পায়নি।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours