মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘লাভ জিহাদ (Love Jihad) এমন একটি কাজ যেখানে মুসলমান পুরুষরা পরিকল্পিতভাবে হিন্দু নারীকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার জন্য টার্গেট করে মিথ্যে বিয়ের নামে ছদ্মবেশে ভালোবাসার নামে প্রতারণা করে।’ পর্যবেক্ষণে এমনই জানাল উত্তরপ্রদেশের বেরিলি আদালত।
লাভ জিহাদ, কী বলল আদালত (Love Jihad)
আদালতের মতে, ‘লাভ জিহাদ ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু অরাজকতাবাদী উপাদান দ্বারা ভারতের ওপর আধিপত্য স্থাপনের চেষ্টা। এটি একটি জনসংখ্যাগত যুদ্ধ, যা সম্ভবত একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ। সম্প্রতি এই আদালতই এক মুসলমান যুবককে এক হিন্দু মহিলাকে বারংবার ধর্ষণের অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। ৪২ পাতার একটি নির্দেশে অতিরিক্ত জেলা ও সেশন বিচারক রবি কুমার দেওয়াকার জানান, লাভ জিহাদের মাধ্যমে অবৈধ ধর্মান্তরণ একটি বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ এবং তিনি ভারত সরকারকে এর গুরুতর পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। অভিযোগ, লাভ জিহাদের (Love Jihad) অপরাধটা একটা সিন্ডিকেট দ্বারা চালানো হচ্ছে। যারা অ-মুসলিম, তফসিলি জাতি-উপজাতি এবং ওবিসি সম্প্রদায়ের দুর্বল অংশের মানুষদের মগজ ধোলাই করে নারী ও শিশুদের প্রভাবিত করছে।
ধর্মান্তরণের চেষ্টা
সরকারি পক্ষের মতে, একটি কোচিং সেন্টারে কম্পিউটার কোর্স করতে গিয়ে অভিযুক্ত মহম্মদ আলমের সঙ্গে পরিচয় হয় ওই তরুণীর। আলম ওই তরুণীকে আনন্দ বলে পরিচয় দেন। এই পরেই প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে ওই মহিলাকে ধর্ষণ করে আলম। শারীরিক সম্পর্কের এই ঘটনাটি মোবাইলে রেকর্ড করে আলম। অভিযোগ, তারপর থেকে নানা সময় ব্ল্যাকমেইল করে ভিডিওটি দেখিয়ে ওই তরুণীকে একাধিকবার হোটেলে যেতে বাধ্য করে। তরুণী গর্ভবতী হয়ে পড়লে, গর্ভপাতও করানো হয়।
আরও পড়ুন: নবরাত্রিতে দেবী দুর্গাকে নয়টি রূপে পুজো করা হয়, জানুন দেবীর রূপ-মহিমা
হিন্দু ওই তরুণীকে আলম ও তার পরিবার ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য করার চেষ্টা করে। তাতে রাজি না হওয়ায় ওই তরুণীকে শারীরিক নিগ্রহ করা হয়। আদালত এই ঘটনাকে লাভ জিহাদ বলে অভিহিত করে। আদালতের মন্তব্য, এমন ব্যক্তিদের কর্মকাণ্ড একটি পুরো ধর্মের বদনাম ঘটায়। এই ধরনের মামলায় বিদেশি অর্থায়নের সম্ভাবনাও স্বীকার করেছে আদালত। বিচারকের নির্দেশ, আদালতের এই রায়ের একটি কপি সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ, বেরিলিকে পাঠাতে হবে, যাতে জেলার থানাগুলোকে সতর্ক করা হয়। আদালতের নির্দেশ, এই ধরনের ঘটনা ঘটলে উত্তরপ্রদেশ বেআইনি ধর্মান্তর আইন ২০২১-এর আওতায় ব্যবস্থা নিতে হবে। ২০২১ সালের আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে পুলিশের মহাপরিচালক ও প্রধান সচিবকেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত (Love Jihad)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours