মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অর্থের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগে বেশ বেকারদায় সাংসদ মহুয়া মৈত্র। চাপে পড়েছে তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেসও। এখনও পর্যন্ত দলের তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি ওই ইস্যুতে। এরই মধ্যে মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী?
শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) মতে, ‘‘মহুয়া মৈত্র সংসদে মোদি সরকারকে 'আদানির এজেন্ট' বলে আক্রমণ করেছিলেন। উনি কার এজেন্ট হয়ে এমন কথা বলেছিলেন সেটা সবার কাছে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। হিরানন্দানি সেটা প্রকাশ্যে এনে দিয়েছেন।’’ শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) জানান, পার্লামেন্টের প্রিভিলেজড কমিটি এবং সিবিআই এই দুই সংস্থা এ নিয়ে তদন্ত করছে। তাঁরা তাঁদের সিদ্ধান্ত জানাবেন। অসাংসদীয় এমন কাজের জন্য তৃণমূল সাংসদের শাস্তির দাবিও তুলেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘‘ মহুয়া মৈত্রর মতো কাজের জন্য এর আগে সাংসদদের বিরুদ্ধে ঠিক যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, সেই ব্যবস্থা তৃণমূলের এই সাংসদের বিরুদ্ধে নেওয়া হোক। এমন শাস্তি দেখতে চায় পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষের মানুষ।’’ তবে শাস্তি হিসেবে মহুয়া মৈত্রর সাংসদ পদ খারিজেই সীমাবদ্ধ থাকেননি শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, ‘‘আমরা শুধু সাংসদ পদ খারিজ হোক এটাই দেখতে চাই না। আমরা মহুয়া মৈত্রকে জেলে দেখতে চাই।’’
অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন মহুয়ার
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরেই অর্থ এবং উপহারের বিনিময় সংসদে প্রশ্ন তোলা নিয়ে নদিয়ার কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে জাতীয় রাজনৈতিক মহলে। বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেনি তৃণমূল কংগ্রেস। গতকাল তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন বলেন, ‘‘সাংসদের বিরুদ্ধে সংসদীয় প্যানেলের তদন্ত শেষ হলে তাঁকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে দলের তরফে।’’ তবে মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়েছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাঁর মতে, কণ্ঠরোধ করার জন্যই নাকি ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে মহুয়ার বিরুদ্ধে। তবে ফিরহাদের এমন মন্তব্যের যে কোনও সারবত্তা নেই তা হিরানন্দানির দেওয়া হলফনামাতেই পরিষ্কার।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours