Major Radhika Sen: নারীশক্তির জয়! ভারতীয় সেনার মেজর রাধিকা সেনকে সম্মানিত করবে রাষ্ট্রসঙ্ঘ

Indian peacekeeper: রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিশেষ সম্মানে সম্মানিত হচ্ছেন ভারতীয় সেনার মেজর
WhatsApp_Image_2024-05-29_at_1224.30_PM
WhatsApp_Image_2024-05-29_at_1224.30_PM

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও বিদেশের মাটিতে সম্মানিত হবেন ভারতীয় নারী। ভারতীয় সেনার মেজর রাধিকা সেনকে (Major Radhika Sen) বিশেষ সম্মান দিতে চলেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। তাঁদের শান্তিরক্ষা বাহিনীর ভারতীয় এই সদস্যকে বিশেষ পুরস্কারে পুরস্কৃত করতে চলেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। ২৯ মে আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রসঙ্ঘ শান্তিরক্ষী দিবস (International Day of UN Peacekeepers)। আর তার ঠিক আগের দিনই এই পুরস্কার ঘোষণা রাষ্ট্রসঙ্ঘের। আগামী ৩০ মে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস রাধিকার হাতে 'মিলিটারি জেন্ডার অ্যাডভোকেট অ্যাওয়ার্ড' তুলে দেবেন। এমনটাই জানিয়েছেন গুতেরেসের মুখপাত্র।   

কে এই মেজর রাধিকা সেন? (Major Radhika Sen) 

হিমাচল প্রদেশের বাসিন্দা রাধিকা বায়োটেকনোলজি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর আইআইটি বম্বে থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে ২০১৬ সালে ভারতীয় সেনায় যোগ দিয়েছিলেন তিনি। গত বছর রাষ্ট্রসঙ্ঘের অর্গানাইজেশন স্টেবিলাইজেশন ইন দ্য ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব দ্য কঙ্গোর (মোনুস্কো) সদস্য হন তিনি। এরপর মোনুস্কোর ইন্ডিয়ান র‌্যাপিড ডেপ্লয়মেন্ট ব্যাটালিয়নের এনগেজমেন্ট প্লাটুনের কমান্ডারের দায়িত্ব সামলেছেন রাধিকা। চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত এই দায়িত্বেই ছিলেন তিনি।  

কেন দেওয়া হয় এই পুরস্কার? 

মেজর সুমন গাওয়ানির পর দ্বিতীয় ভারতীয় শান্তিরক্ষী হিসেবে এই সম্মানজনক পুরস্কার পেতে চলেছেন রাধিকা সেন। এর আগে দক্ষিণ সুদানে রাষ্ট্রসঙ্ঘ মিশনে (UNMIS) দায়িত্ব পালন করেছিলেন মেজর সুমন গাওয়ানি। ২০১৯ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মিলিটারি জেন্ডার অ্যাডভোকেট অফ দ্য ইয়ার পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন তিনি। মহিলা ও বালিকাদের যৌন নির্যাতনের বিভিন্ন ঘটনা থেকে রক্ষা করে তাঁদের নিরাপত্তা দানের জন্য স্বীকৃতি স্বরূপ রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ এই পুরস্কার দিয়ে থাকে।

রাধিকার ভূয়সী প্রশংসা রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিবের

এদিন রাধিকার (Major Radhika Sen) ভূয়সী প্রশংসা করে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস তাঁকে সত্যিকারের নেতা এবং রোল মডেল বলে দাবি করেছেন। তিনি আরও জানান, এই সম্মান সমস্ত শান্তিরক্ষীদের কঠোর পরিশ্রমের স্বীকৃতি এবং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে অনুপ্রেরণা জোগাবে। লিঙ্গ সংবেদনশীলতা বজায় রেখে শান্তিরক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব শুধুমাত্র নারীদের একার দায় নয়।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles