মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবিধান বা আদালতকে বিশ্বাস করেন না”, ঠিক এই মন্তব্য করে তৃণমূল নেত্রীকে তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। শনিবার কলকাতায় একটি অনুষ্ঠান থেকে বিচারকদের উদ্দেশে মমতা (Mamata Banerjee) বলেছিলেন, “বিচারকদের রাজনৈতিক পক্ষপাত থেকে মুক্ত থাকতে হবে”। এরপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, তীব্র তোপ দাগেন তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে রাজ্যে নারী নির্যাতন এবং হকার উচ্ছেদ নিয়ে মন্তব্য করেন এই বিজেপি নেতা।
ঠিক কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?
তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেছেন, “তৃণমূল কংগ্রেস বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা রাখে না, আদালতের রায় মানে না। কয়েকদিন আগে যখন কলকাতা হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল যে ওবিসিদের নামে মুসলমান সংরক্ষণ প্রথা আমাদের সংবিধান পরিপন্থী, তখন মমতা বিচার মানেন না বলে প্রকাশ্যে দাবি করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে রাজ্যের সংবিধান প্রধান রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন তা কার্যত রাজভবন এবং সংবিধানকে অপমান করেছেন। কোচবিহারে এক মহিলাকে নগ্ন করে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। এই ঘটনা থেকে চোখ সরাতে মমতা কলকাতায় হকার উচ্ছেদের নামে প্রহসন করছেন। কোচবিহারের ঘটনাকে আড়াল করার অপচেষ্টা করছেন মমতা।”
আরও পড়ুন: নিম্নচাপের জেরে রাজ্যে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা, জারি সতর্কতা
আর কী বললেন সুকান্ত?
সুকান্ত (Sukanta Majumdar) এদিন মমতার (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, “কোচবিহারের ঘটনা সামজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা হয়েও এই রাজ্যের কোনও মহিলারা সুরক্ষিত নন! রাজ্যে মা-বোনদের সম্মান রক্ষায় ব্যর্থ এই সরকার। বাংলার মহিলাকে অসম্মান মানে সংবিধানকে অসম্মান করা। সংবিধানকেই নগ্ন করেছে তৃণমূল সরকার। যদি হকার উচ্ছেদ সত্যই সত্যই করতে চাইতেন, তাহলে আগে থেকে নোটিশ দেওয়া উচিত ছিল। এই বিষয়ে বিজেপির অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট যে বিকল্প ব্যবস্থা না করে, এই অস্থিরতা তৈরি করা সরকারের ভাবনা ঠিক নয়। রাজ্যে চাকরি নেই, কাজ নেই তাই মানুষ বাধ্য হয়ে হকারি করছেন। রাজ্যে শিল্প কারখানা নেই, পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে অন্য রাজ্যে যেতে হচ্ছে। তাই এই দায় নিতে হবে মমতা সরকারকেই।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours