Jharkhand: ঝাড়খণ্ডে বাড়ছে ‘লাভ জিহাদ’! রামগড়ে ভাইকে হত্যা বোনের, রাঁচিতে স্কুলে হিন্দু ছাত্রীদের ‘হুমকি’

বিজেপির অভিযোগ, রাজ্যে লাভ জিহাদ এবং গুন্ডামি নিরবচ্ছিন্নভাবে চলছে, কিন্তু সরকার এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করছে না।
utejv4l_police-generic_625x300_07_March_20
utejv4l_police-generic_625x300_07_March_20

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে লাভ জিহাদের (Love Jihad) ঘটনা। সোমবারই চঞ্চলা কুমারী নামে এক তরুণীকে তার ভাইকে খুনের দায়ে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ চঞ্চলার সঙ্গে সোনু আনসারি, নামে এক যুবকের সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্ক চঞ্চলার ভাই রোহিত কুমার মেনে নেয়নি। এর ফলেই রোহিতকে খুন করে চঞ্চলা ও সোনু। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের রামগড় জেলায়। পাত্রাতু তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি কোয়ার্টার থেকে উদ্ধার করা হয় রোহিতের দেহ। এরপরই সোমবার চঞ্চলা ও সোনুকে গ্রেফতার করে ঝাড়খণ্ড পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে যে কুমার অন্য সম্প্রদায়ের যুবকের সঙ্গে তাঁর বোনের সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। রবিবার পুলিশ কুমারের বিকৃত দেহটি উদ্ধার করে। চঞ্চলা এই অপরাধে তার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, চঞ্চলা ও রোহিতের বাবা নরেশ মাহাতোর পাত্রাতু থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এরপরই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। রাঁচির ব্যবসায়ী নরেশ এফআইআরে জানিয়েছেন, চঞ্চলার সঙ্গে দেখা করতে রোহিত রাঁচি থেকে রামগড়ে যায়। তারপর থেকেই সে নিখোঁজ। 

আরও পড়ুন: ‘‘ভয় পেয়েছেন মমতা...লড়াই হবে লড়াই’’, নবান্ন অভিযানের আগে হুঙ্কার সুকান্তর

 অন্যদিকে, রাঁচিরই একটি স্কুলে ঢুকে হিন্দু মেয়েদের বাধ্য করা হল মুসলিম যুবকদের বন্ধুত্ব মেনে নিতে। অভিযোগ, একদল মুসলিম যুবক ওই সরকারি স্কুলে ঢুকে ছুড়ি দেখিয়ে হিন্দু ছাত্রীদের ভয় দেখায়। হুমকি দেওয়া হয়, বন্ধুত্ব স্বীকার না করলে মেয়েদের অপহরণ করা হবে। কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ওই মেয়েদের পাশে দাঁড়ালে তাঁদেরকেও মারধর করা হয়। অভিযোগ, বেশ কয়েকদিন ধরেই নবম শ্রেণির কয়েকজন হিন্দু ছাত্রীকে বিরক্ত করছে একদল মুসলিম যুবক।

এক সিনিয়র পুলিশ অফিসারের কথায়, ঘটনাটিকে অযথা সাম্প্রদায়িকতার রঙ দেওয়া হচ্ছে। মেয়েদের এবং স্কুলের ম্যানেজমেন্টের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ইতিমধ্যেই একটি এফআইআর দায়ের করেছে। ঘটনার তদন্তে ৫ সদস্যের বিশেষ তদন্ত দল (SIT) গঠন করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। রাজ্যে বিরোধী দল বিজেপি এই ঘটনায় হেমন্ত সোরেন সরকারকে দায়ী করেছে। বিজেপির দাবি করেছে যে রাজ্যে লাভ জিহাদ এবং গুন্ডামি নিরবচ্ছিন্নভাবে চলছে, কিন্তু সরকার এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করছে না।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles