মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাত বছর আগের এক রাতের নিকষ কালো আকাশের বুকে দেখা গিয়েছিল উজ্জ্বল আলোকখণ্ড। পরে সেটি দ্রুত গতিতে নীচের দিকে এসে সজোরে আছড়ে পড়ে মাটিতে। আসলে সেটি একটি উল্কাপিণ্ড (Meteorite)। অসমের (Assam) গোলাঘাট জেলার কামারগাঁও শহরের উপান্তে খসে পড়েছিল ওই উল্কাপিণ্ড।
উল্কাপিণ্ড...
সেই উল্কাপিণ্ড সংগ্রহ করে শুরু হয় গবেষণা। সেই গবেষণা থেকেই জানা গিয়েছে এই উল্কাপিণ্ডের মধ্যেই লুখিয়ে রয়েছে পৃথিবীতে প্রাণের উৎপত্তি হয়েছিল কীভাবে। এই উল্কাপিণ্ডে থাকা রাসায়নিক কম্পোজিশনগুলিই সমস্যার সমাধানে বড়সড় ইঙ্গিত দেবে বলে আশা গবেষকদের। অসমের মাটিতে আছড়ে পড়া ওই উল্কাপিণ্ডের মধ্যে থাকা রাসায়নিক বিশ্লেষণ করেন জানা যাবে নক্ষত্র থেকে কীভাবে জীবনের সূচনা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষার দরজা বন্ধ! মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি তালিবানের
উল্কাপিণ্ডটি নিয়ে কাজ করছেন খড়্গপুর আইআইটির একদল গবেষক। তাঁদের দাবি, ভিন সৌরজগৎ থেকে আসা উল্কাপিণ্ড বিশ্লেষণ করে জানা গিয়েছে খনিজের মধ্যে ভেসিক্যালস রয়েছে। এই প্রথম এটা জানা গেল। এটা থেকেই জানা যেতে পারে জগতে কীভাবে প্রাণের সঞ্চার হয়েছিল। কেবল খড়্গপুর আইআইটি (IIT) নয়, আইআইটির সঙ্গে যৌথভাবে এই গবেষণা করছে জাপানের হিরোশিমা বিশ্ববিদ্যালয় এবং আহমেদাবাদের ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরিও। এই গবেষণালব্ধ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে জার্নাল অফ জিওগ্রাফিক্যাল রিসার্চ প্ল্যানেটসে।
আরও পড়ুন: হয় কোভিড-বিধি মানুন, নয়তো ভারত জোড় যাত্রা বন্ধ করুন, রাহুলকে চিঠি মাণ্ডব্যর
গবেষকরা জেনেছেন, অসমে যে উল্কাপিণ্ডটি (Meteorite) খসে পড়েছিল, সেটা এসেছে মঙ্গল ও বৃহস্পতির অ্যাস্টোরয়েড বেল্ট থেকে। দ্রুত গতিতে ভূপৃষ্ঠে আছড়ে পড়ার সময় সেটির সঙ্গে ধাক্কা হয় কোনও গ্রহাণুর। জানা গিয়েছে, এই যে উল্কাপিণ্ডের সঙ্গে গ্রহাণুর সংঘর্ষ, তার ফলে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছিল গ্রহাণু। এরই কয়েকটি টুকরো আছড়ে পড়েছে ভূপৃষ্ঠে। অসমের কামারগাঁওয়ে যে উল্কাপিণ্ডটি আছড়ে পড়েছিল, সেটি যে গ্রহাণু থেকে এসেছিল, সেটি আকারে ৬.৪ কিলোমিটার।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours