মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের (Cyclone Michaung) ধাক্কায় বেহাল চেন্নাই। প্রবল বৃষ্টিতে কার্যত স্তব্ধ জনজীবন। চারিদিক জলমগ্ন। দুর্যোগের মধ্যে আটকে রয়েছেন এই রাজ্যের বহু পরিযায়ী শ্রমিক। স্বাভাবিকভাবে বাড়ি ফিরছেন তাঁরা। মালদা ও বাংলার অন্য নানা জেলা থেকে চেন্নাইয়ে এসেছেন বহু শ্রমিক। তাঁরা এখন দুর্দশায় পড়েছেন।
চেন্নাইয়ের মজুরি দ্বিগুণ, দাবি পরিযায়ী শ্রমিকদের
পরিযায়ী শ্রমিক মালদার বাসিন্দা সেলিম সেখ। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি। তিনি বলেন, বৃষ্টি দেখে বুঝতেই পারিনি এমন পরিস্থিতি হবে। বাড়ি যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু, ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের (Cyclone Michaung) জেরে এমনভাবে জল বেড়েছে যে আটকে পড়েছিলাম আমরা। ইন্টারনেট নেই, বিদ্যুৎ সংযোগও নেই। ফলে মোবাইল বন্ধ হয়ে বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারছিলেন না। বৃষ্টির জন্য বন্ধ রয়েছে সব কাজ। এখানে রোজগার না থাকলে বসে খরচ বেড়ে যায়। তাই বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছি। কিন্তু বাড়ি-ঘর ছেড়ে এতদূরে কেন আসেন তাঁরা? কারণ স্পষ্ট জানালেন ওই শ্রমিক। তিনি বলেন, রাজ্যেও রাজমিস্ত্রির হেল্পারের কাজ করতাম। কিন্তু বাংলায় যে কাজের জন্য দিনে ৩০০-৩৫০ টাকা মেলে, সেই কাজের জন্যই চেন্নাইয়ে মেলে ৭০০ টাকা। বাংলার থেকে দ্বিগুণ আয় হয় এখানে। বেশি আর্থিক স্বচ্ছলতার জন্য রাজ্য ছাড়তে বাধ্য হই। ডালিম হক বলেন, বাংলায় কাজ নেই। মজুরিও কম। এখানে মজুরি অনেকটাই বেশি। তাই, বাড়তি রোজগারের আশায় আমরা বাড়ি ছেড়ে এখানে এসেছি।
দুদিন পরই খোঁজ মিলল তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী
চেন্নাইয়ে থারাইপক্কমে থাকেন হুগলির কোন্নগরের বাসিন্দা তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী সৌমাভ মিত্র। ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের (Cyclone Michaung) জেরে দুদিন ধরে তিনি পাননি খাবার ও পানীয় জল। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় পরিবারের সঙ্গে। প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করে শেষমেশ খোঁজ মেলে সৌমাভর। শেষ পর্যন্ত, ভিডিও কলে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। তাঁর বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন পরিবারের লোকজন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours