মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বান্ধবীকে ১১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা দামের গাড়ি উপহার দিয়েছিলেন। নিজের নামে রয়েছে ১২টি ফিক্সড ডিপোজিট। এফডি-র টাকার অঙ্কের পরিমাণ ৭৬ লক্ষ টাকা। তাঁর নামে ১০ লক্ষ টাকার জীবন বিমা রয়েছে। রয়েছে বিলাসবহুল বাড়ি। রয়েছে প্রচুর জমি। সব মিলিয়ে কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক। এক ঝলকে অ্যাকাউন্টের ব্যালান্স দেখে মনে হতেই পারে কোনও ব্যবসাদার। কিন্তু, সামান্য একজন ছাপোষা কনস্টবলের এই সম্পত্তি বলে সকলেই অবেক হবে। দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকরা হতবাক হয়েছিলেন বীরভূমের (Birbhum) রামপুরহাট থানার কনস্টেবল মনোজিৎ বাগীশের সম্পত্তির পরিমাণ দেখে।
কী কারণে কনস্টেবলকে গ্রেফতার করা হল?
কেষ্টর দৌলতেই কনস্টেবল সায়গল হোসেন কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছিলেন। কিন্তু, মনোজিৎ বাগীশের মাথার উপর কোনও কেষ্ট নেই। তবুও, তিনি কোটিপতি। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে। বারুইপুরে তাঁর ঝাঁ-চকচকে বাড়ি রয়েছে। প্রথমে হাওড়া সিটি পুলিশ ও তারপর হাওড়া গ্রামীণ পুলিশে কর্মরত মনোজিৎ বর্তমানে বীরভূমের (Birbhum) রামপুরহাট থানায় কনস্টেবলের পদে চাকরি করছিলেন। হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির তদন্তে নেমে ২০১২ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত বিভিন্ন তথ্য দেখে কার্যত চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকদের। বিপুল সম্পত্তি উদ্ধার হওয়ার পর তাঁদের আশঙ্কা, তাঁর নামে আরও ফ্ল্যাট-সম্পত্তি থাকতে পারে। হিসাব বর্হিভূত অর্থে অভিযোগের তদন্তে নেমে দুর্নীতি দমন শাখা তাঁকে গ্রেফতার করে। কীভাবে এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি তাঁর কাছে এল তা নিয়ে তথ্য জানতেই অভিযুক্ত কনস্টেবলকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?
সূত্রের খবর, অভিযুক্ত কনস্টেবলকে গ্রেফতার করার পর আদালতে পেশ করলে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ আদালতের। বীরভূম (Birbhum) জেলাজুড়ে তাঁকে নিয়ে চর্চা চলছে। বারুইপুরের যে এলাকায় মনোজিৎ বাগীশ থাকেন, সেখানকার স্থানীয়দের বক্তব্য, চাকরি পাওয়ার পর থেকেই ক্রমশ বদলে যেতে থাকে তাঁর আর্থিক পরিস্থিতি। কনস্টেবলের চাকরি পাওয়ার কীভাবে এত সম্পত্তির মালিক হয়ে উঠলেন তা নিয়ে এলাকার চর্চাও চলত। তদন্তে আসল সত্য উদঘাটন হোক চাইছেন এলাকাবাসী।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours