Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জের সেই নিহত নাবালিকা পাশ করল উচ্চ মাধ্যমিকে, হল না স্বপ্ন পূরণ

Kaliaganj: "বড় হয়ে নার্স হওয়ার ইচ্ছে ছিল মেয়ের। কিন্তু তা আর পূরণ হল না।" আক্ষেপ মায়ের
Kaliaganj_(1)
Kaliaganj_(1)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: 'বড় হয়ে নার্স হওয়ার ইচ্ছে ছিল মেয়ের। কিন্তু তা আর পূরণ হল না।' আক্ষেপ কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) নিহত সেই নাবালিকার মায়ের। বুধবার প্রকাশিত হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল। আর সেখানে ২৪৩ নম্বর পেয়ে পাশ করেছে কালিয়াগঞ্জের ওই নাবালিকা ছাত্রী, যার মৃত্যুতে তোলপাড় হয়েছিল গোটা রাজ্য। দফায় দফায় উত্তেজনা, সংঘর্ষ, ভাঙচুর চলেছিল কালিয়াগঞ্জে। এখন পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত, গ্রামটিও এখন নীরব। শুধু সমাধির নিচে শায়িত রয়েছে সেই নাবলিকার মৃতদেহ। মেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করলেও আনন্দ এবং উচ্ছ্বাস নেই পরিবারের মধ্যে, রয়েছে শুধু বিষাদের ছাপ। নাবলিকার মা অশ্রুভেজা কণ্ঠে বলেন, "মেয়ে পড়াশোনায় খুবই ভালো ছিল। ইচ্ছে ছিল মানুষের মতো মানুষ হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াবে। মেয়ের ইচ্ছে ছিল, সে একজন নার্স হবে। উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট দেখে খুবই দুঃখ হচ্ছে, যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। সেই আশা আর পূর্ণ হল না। যদি আজ মেয়ে বেঁচে থাকত, তাহলে রেজাল্ট দেখে কত আনন্দ পেত। দোষীদের চরম শাস্তি চাই। সিবিআই তদন্ত চাই।"

বিষাদের সুর গ্রাম জুড়ে (Kaliaganj)

ইতিমধ্যেই ওই নাবালিকার মৃত্যুর (Kaliaganj) তদন্তে সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এমনকী দরকারে মৃতদেহ তুলতেও পারবে তদন্তকারী দল। এতকিছুর মধ্যেও মেয়েটির উচ্চ মাধ্যমিকের সফলতার পরও বিষাদের সুর গ্রাম জুড়ে। এক গ্রামবাসী জানিয়েছেন, "ছোটবেলা থেকেই ও পড়াশোনায় ভালো ছিল। মাধ্যমিকে রেজাল্ট ভালো করেছে। উচ্চ মাধ্যমিকেও ভালো ফল করেছে। কিন্তু মেয়েটাই তো নেই, রেজাল্ট নিয়ে আর কী হবে? বলার ভাষা নেই। শুনেছি সিট গঠন করেছে। কিন্তু কী যে হচ্ছে?" তদন্ত তাড়াতাড়ি হোক, এটাই আশা গ্রামবাসীদের। অপরদিকে, সাহেবঘাটা এন এন উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন, "মেয়েটি ভালো রেজাল্ট করেছে। ক্লাস ফাইভ থেকেই ভা্লো ছাত্রী ছিল। খেলাধূলাতেও ভালো ছিল। আচার-আচরণও ছিল ভালো। মেয়েটি আজ নেই, খুব খারাপ লাগছে। আমরা বাকরুদ্ধ।"

দোষীদের চরমতম শাস্তি চায় পরিবার (Kaliaganj)

মেয়েটির স্বপ্ন পূরণ হল না। এই আক্ষেপেই দিন কাটাচ্ছোন নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা।  তাঁদের একটাই আশা, যে বা যারা প্রকৃত দোষী, তাদের চরমতম শাস্তি হোক। আর এই আশাতেই বুক বাঁধছে নাবালিকার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনরা। এখন কবে তদন্ত শেষে প্রকৃত দোষীরা শাস্তি পাবে, সেটা সময়ের অপেক্ষা। 

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles