Assam Minor Rape: নাবালিকার ধর্ষণ-খুনকে আত্মহত্যা! আসামে গ্রেফতার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, সরকারি চিকিৎসক!

হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানান, এক সাংবাদিক এই মামলার বিষয়ে তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে জানান এবং দুর্নীতির কথা তুলে ধরেন।
rape-image
rape-image

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসামে ১৩ বছরের নাবালিকা পরিচারিকা ধর্ষণ এবং খুনের (Assam Minor Rape) মামলায় কর্তব্য পালন না করার অভিযোগে গ্রেফতার দরং জেলার জেলাশাসক। এমনটাই জানালেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।

কী অভিযোগ? 

১৩ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় আসাম পুলিশের দুর্নীতির বেশ কিছু তথ্য সামনে এসেছে। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে পরিচারিকা হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল পুলিশ। ঘটনার তদন্তে নেমে একথা জানিয়েছে সিআইডি। হত্যার ঘটনাকে আত্মহত্যার রূপ দিতে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা লেনদেন হয়েছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। এই ঘটনায় ভুয়ো পোস্টমর্টেম রিপোর্ট তৈরির দায়ে মঙ্গলবার তিন চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। সোমবার দরং জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে গ্রেফতার হয়েছেন। এর এক দিন পরেই গ্রেফতার হয়েছেন ধুলা থানার ওসি। দরং জেলার পুলিশ সুপার এখনও নিখোঁজ।

আরও পড়ুন: ১০-১৫ বছরে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে ভারত, বললেন অর্থমন্ত্রী

কী ঘটেছিল?

চলতি বছর জুন মাসে আসামের দরং জেলার ধুলা থানার ঢেকিয়াজুলি এলাকার এসএসবি জওয়ান কৃষ্ণকমল বরুয়ার বাড়িতে তেরো বছরের কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ওই বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন নাবালিকা। তাঁর মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করে স্থানীয় পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও আত্মহত্যার কথাই বলা হয়। কিন্তু কিশোরীর মা-বাবার অভিযোগ করেন, তাদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। কারণ,মৃতদেহের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। গোপনাঙ্গে রক্তের দাগ ছিল। ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য। সঠিক তদন্তের আশ্বাস দেয় রাজ্য সরকার। আন্দোলনের চাপে ফের ময়নাতদন্ত করতে বাধ্য হয় পুলিশ।

এরপর রাজ্য সরকারের নির্দেশে ফের ময়নাতদন্ত করা হয়। এবং তাতে ধর্ষণের করার প্রমাণ মেলে। ডিএনএ পরীক্ষায় জানা যায়, বাড়ির মালিক কৃষ্ণকমল বরুয়া ধর্ষণ করেছে। ময়নাতদন্তের এই রিপোর্ট আসার পর আসাম  পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন ওঠে। ওই কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। সেদিন তিনি এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব সিআইডিকে দেন। সিআইডির বিশেষ টিম গত ১২ অগাস্ট  তদন্ত নামে। সিআইডির তদন্তে দেখা যায় মৃতদেহ উদ্ধারের সময় ভিডিওগ্রাফি করেনি পুলিশ। এমনকি ফুটপ্রিন্টও নেওয়া হয়নি। এরপর এক এক করে দুর্নীতির তথ্য সামনে আসতে শুরু করে।        

হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানান, এক সাংবাদিক এই মামলার বিষয়ে তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপ জানান এবং দুর্নীতির কথা তুলে ধরেন। তারপরেই এই মামলার তদন্ত ভার তিনি দেন সিআইডিকে।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles