Myanmar: মিজোরামে আশ্রয় নেওয়া সেনাকর্মীদের ফেরানো হবে মায়ানমারে, জানাল পুলিশ

সীমান্তে প্রহরারত অসম রাইফেলসের হাতে এ দেশে আশ্রয় নেওয়া সেনাদের তুলে দেওয়া হয়েছে...
Myanmar_f
Myanmar_f

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্তি অব্যাহত মায়ানমারে (Myanmar)। তার জেরে ভারত-মায়ানমার সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে চলে আসছেন মায়ানমারের বহু বাসিন্দা। শরণার্থীদের এই দলে রয়েছেন মায়ানমারের ৭৫ জন সেনাকর্মীও। এই সৈনিকদের সে দেশে ফেরানো হবে বলে জানিয়ে দিল মিজোরাম প্রশাসন।

কী বলছে মিজোরাম পুলিশ? 

মায়ানমার পুলিশের ডিজিপি অনিল শুক্লা বলেন, “গত সপ্তাহে মায়ানমারে জুন্টা সেনা ও বিদ্রোহীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। লড়াইয়ে এগিয়ে যান বিদ্রোহীরা। এই সংঘর্ষের কারণে কামৈ গ্রামের বাসিন্দারা অস্থায়ীভাবে ভারতে চলে এসেছেন। কামৈ গ্রামটি জোখাথারের কাছে।” তিনি বলেন, “শরনার্থীদের জন্য তৈরি দুটি শিবিরে ভিড় উপচে পড়ছে। এঁদের মধ্যে মায়ানমারের ৭৫ জন সেনাও রয়েছেন। তাঁরাও মিজোরামে ঢুকে পড়েছেন। আমরা তাঁদের উদ্ধার করেছি। সীমান্তে প্রহরারত অসম রাইফেলসের হাতে তাঁদের তুলে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মায়ানমারে ফেরানো হবে।” তিনি (Myanmar) জানান, গত সপ্তাহে মায়ানমার থেকে যেসব শরণার্থী এদেশে এসেছিলেন, ইতিমধ্যেই তাঁদের দেশে ফেরানো হয়েছে।

ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছেন গ্রামবাসীরা 

শুক্লা বলেন, “এঁদের মধ্যে অনেকেই তাঁদের গ্রামে ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছেন। তবে বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি আগের তুলনায় ঢের ভাল।” জানা গিয়েছে, উদ্বাস্তু সমস্যার কারণে মিজোরামে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মিজোরামের ডিজিপি বলেন, “আমরা অসম রাইফেলসের সঙ্গে সহযোগিতা করে চলেছি। আমরা অনেককে উদ্ধার করেছি। আহতদের স্থানীয় চম্পাই হাসপাতালে ভর্তি করেছি। যাঁদের অবস্থা গুরুতর, তাঁদের ভর্তি করা হয়েছে আইজল সিভিল হাসপাতালে।” তিনি বলেন, “সেখানে সামান্য উত্তেজনা রয়েছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনও সমস্যা নেই।”

আরও পড়ুুন: জয়নগর কাণ্ডে এবার গ্রেফতার তিন তৃণমূল কর্মী

এদিকে, মায়ানমারের বহু বাসিন্দা ভিটে মাটি ছেড়ে চলে আসছেন দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায়। সম্প্রতি যে এয়ারস্ট্রাইক হয়েছে, তার পরেই এই প্রবণতা দেখা গিয়েছে। তাঁরা জোখাথার এলাকায় চলে এসেছেন। এই এলাকাটি চাম্পাই জেলার কাছাকাছি। ভারত- মায়ানমার সীমান্তের এই জায়গায় বেড়া দেওয়া নেই (Myanmar)।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

 
 

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles