PM Modi: বুদ্ধজয়ন্তীতে লুম্বিনিতে বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শিলান্যাস মোদির

ভারত-নেপাল সম্পর্কে শান্তিবারি মোদির...
mo_f
mo_f

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লুম্বিনিতে (Lumbini) বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের (buddhist cultural centre) ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন ভারত (India) ও নেপালের (Nepal) প্রধানমন্ত্রী। সোমবার বুদ্ধজয়ন্তীর দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) এবং নেপালের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা ওই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। অংশ নেন বৌদ্ধ রীতি অনুযায়ী পুজোয়ও।

এদিন বুদ্ধজয়ন্তী (Buddha Jayanti) উপলক্ষে নেপাল পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখান থেকে চলে যান লুম্বিনিতে। এই লুম্বিনিতেই জন্ম হয়েছিল ভগবান বুদ্ধের (Lord Buddha)। বৌদ্ধ (Buddhist) তো বটেই, হিন্দুদের (Hindu) কাছেও লুম্বিনির গুরুত্ব অপরিসীম। হিন্দুদের বিশ্বাস, বুদ্ধ স্বয়ং বিষ্ণুর (Lord Vishnu) অবতার।

এদিন যে জায়গায় ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে, সেটি ইন্টারন্যাশনাল বৌদ্ধ কনফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত। নেপালের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে লুম্বিনিতে যান মোদি। তার আগে দর্শন করেন মায়াদেবীর মন্দির (maya devi temple)। মোদির সঙ্গে ছিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রী আরজু রানা দেউবা। লুম্বিনিতে গিয়ে মূলপ্রস্তরে শ্রদ্ধা অর্পণ করেন। এই প্রস্তরখণ্ডটি বুদ্ধের সঠিক জন্মস্থান নির্দেশ করে। এর পরেই শুরু হয় বৌদ্ধরীতিতে পুজো। মন্দির সংলগ্ন অশোক স্তম্ভের কাছেও প্রদীপ জ্বালান দুই প্রধানমন্ত্রী।

২৪৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সম্রাট অশোক এই স্তম্ভ নির্মাণ করেছিলেন। সেখানে দুই প্রধানমন্ত্রী শিশু-বোধিবৃক্ষে জল দেন। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর মোদি যখন নেপালে এসেছিলেন, তখন বুদ্ধগয়া (Bodhgaya) থেকে তিনি এই বৃক্ষটি উপহার হিসেবে নেপালের প্রধানমন্ত্রীকে দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন : ভারতকে ধন্যবাদ , মোদি-বন্দনা শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রীর মুখে

এই নিয়ে পাঁচবার লুম্বিনিতে গেলেন মোদি। বুদ্ধ পূর্ণিমার (Buddha Purnima) দিন লুম্বিনি দর্শন করতে পেরে তিনি যে খুশি, তা ধরা পড়েছে এদিন নেপাল পৌঁছেই তাঁর করা ট্যুইটে। মোদি লিখেছেন, নেপালে অবতরণ করেছি। বুদ্ধ পূর্ণিমার বিশেষ দিন উপলক্ষে নেপালের বিস্ময়কর মানুষের মধ্যে থাকতে পেরে খুশি। লুম্বিনির অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি। এর পরেই লুম্বিনিতে পৌঁছান ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

’১৪ সালে ক্ষমতায় এসেই প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে সচেষ্ট হন মোদি। সেই সময়ও তিনি গিয়েছিলেন নেপালে। পরে গাঢ় হয় নেপাল-চিন সম্পর্ক। স্বাভাবিকভাবেই দূরত্ব রচনা হয় ভারত-নেপাল সম্পর্কে (India Nepal bilateral relations)। কূটনৈতিক মহলের মতে, ভারতের গুরুত্ব পরে বুঝতে পারে নেপাল। ক্রমেই শীতল হতে থাকে নেপাল-চিন (Nepal-China) সম্পর্ক। তার পর ফের নেপালের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক মসৃণ করতে সচেষ্ট হন মোদি। যার জেরে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম তিনি পা রাখলেন নেপালে। তাও আবার বুদ্ধজয়ন্তীর দিন।

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles