মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটা সময় পর্যন্ত মনে করা হত চাঁদে (Moon)জল নেই, চাঁদ শুষ্ক উপগ্রহ। কিন্তু ২০০৮ সালে অ্যাপোলো ১৫ আর ১৭-র চন্দ্রাভিযানের পর সেই ধারণা বদলায়। জানা যায় চাঁদে জল আছে। তবে ভারতের চন্দ্রযান (Chandrayaan)অভিযানের পর ধারণাটা আরও খানিকটা বদলায়। বিজ্ঞানীরা দেখেন, চাঁদের যে অংশে জলের উপস্থিতি অনুমান করা হয়েছিল সেখানে ছাড়াও জল আছে অন্য জায়গাতেও। এবার নয়া গবেষণার ফেল জানা গেল চাঁদে যে জলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল তার বেশিরভাগেরই উৎস পৃথিবী।
এই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করছে আলাস্কা ফেয়ারব্যাঙ্কস জিওফিজিক্যাল ইনস্টিটিউট (Alaska Fairbanks Geophysical Institute)। তাদের তরফে জানানো হয়েছে,পৃথিবীর সর্বোচ্চ স্তর থেকে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন আয়ন বের হচ্ছে। সেখান থেকেই চাঁদে জল আসছে। এবিষয়ে একটি রিপোর্ট ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছেন ওই সংস্থার গবেষকেরা। রিপোর্টে বলা হয়েছে, চাঁদ পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরছে এবং সেক্ষেত্রে পৃথিবীর সঙ্গে একটি চুম্বকীয় আকর্ষণ রয়েছে চাঁদের। সেখানেই রয়েছে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনের স্তর। যার মাধ্যমে চাঁদে জলের সন্ধান পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি রিপোর্টে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী,চাঁদের এক মেরু অঞ্চলে ৩৫০০ কিউবিক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে জলের সন্ধান পাওয়া গেছে। যা সম্পূর্ণভাবে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল থেকে তৈরি হয়েছে। এই বিষয়ে বিজ্ঞানীদের যুক্তি,হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন আয়নগুলি যখন চৌম্বকীয় তরঙ্গের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তখন তা জলকনা সৃষ্টি করছে। এবং সেখান থেকেই চাঁদে জলস্তর তৈরি হয়েছে।
চাঁদে জলের সন্ধান করার জন্য চলতি দশকেই একাধিক মহাকাশচারীদের মহাকাশে পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে নাসা (NASA)। চাঁদে সত্যিই জল রয়েছে কিনা এবং তার উৎস সন্ধানই এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য। এছড়াও আরও কিছু বিষয় নিয়ে খোঁজখবর করবে ওই মহাকাশচারীরা।
+ There are no comments
Add yours