মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের ৩ অগাস্ট নদিয়ার শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে সেন্ট্রাল প্যাথলজির উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে এক ছাদের নিচেই সমস্ত রকম পরিষেবা পাওয়ার কথা ছিল রোগীদের। কিন্তু প্রায় দুই মাস অতিক্রান্ত হতে চলল, এখনও তা চালুই হয়নি। ভোট এলে মানুষকে বোকা বানানোর পদ্ধতি মুখ্যমন্ত্রীর! এভাবেই একে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
কেন এই উদ্যোগ?
বছরের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে অচল পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ ওঠে। রোগীর আত্মীয়রা কখনও কখনও অভিযোগ তোলেন, বিনা পরিষেবায় তাঁদের রোগীর মৃত্যু ঘটেছে। আবার বিভিন্ন হাসপাতালে দেখা যায় বেহাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ছবি। এবার মূলত সেইসব অভিযোগের ভিত্তিতে যাতে স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল ফেরানো যায় এবং সাধারণ মানুষ আরও উন্নত পরিষেবা পেতে পারেন, সেই উদ্যোগ নিয়েই গত অগাস্ট মাসের ৩ তারিখে মুখ্যমন্ত্রী নিজে নদিয়ার কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে একটি সেন্ট্রাল প্যাথলজির উদ্বোধন করেন। যার মূল উদ্দেশ্য ছিল কোন রোগী যাতে পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হয়। শুধু তাই নয়, যে কোনও পরিষেবা পেতে অন্য হাসপাতালে যেন ছুটতে না হয়। সেদিনে তাঁর উদ্বোধনকে সাধুবাদ জানিয়েছিল বিরোধীরাও। কিন্তু প্রায় দুই মাস অতিক্রান্ত হতে চলল, এখনও উদ্বোধন হলেও চালু হল না পরিষেবা। যা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন করতে শুরু করেছে।
এসব কাটমানিরই খেলা, বলছে বিজেপি
এ বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে কৃষ্ণনগর উত্তর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি মিডিয়া কনভেনর সন্দীপ মজুমদার বলেন, ভোট বৈতরণী পার হবার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কর্মসূচির ঘোষণা করেন। তিনি ঘোষণা করেছিলেন একই ছাদের তলায় বিভিন্ন চিকিৎসা সংক্রান্ত পরিষেবা মানুষ পাবেন। সেরকম একটি উদ্যোগ ধুমধাম করে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। সেটা উদ্বোধন হওয়ার পর এখনও বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এটা শুধু মানুষকে দেখানো আমরা কাজ করছি এবং রাজ্য সরকার কাজ করছে। মমতা ব্যানার্জি বিভিন্ন প্রকাশ্য সভায় বলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পৃথিবীর সব থেকে উন্নত। আমরা সেই উন্নতর নমুনা পাচ্ছি, কোথাও বিনা চিকিৎসায় রোগী মারা যাচ্ছে আবার কোথাও নার্স এবং ডাক্তাররা নিগৃহীত হচ্ছেন। একটা অরাজকতার পরিস্থিতি গোটা পশ্চিমবাংলা জুড়ে চলছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গে তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী। আর তার অপদার্থতা দিন দিন প্রকাশ পাচ্ছে। এটা আর কিছুই নয়, উদ্বোধন করা মানে জনগণের ট্যাক্সের লক্ষ লক্ষ টাকার একটা অংশ কাটমানিতে চলে যাওয়া। পাশাপাশি তিনি বলেন, আমরাও চাই এই ধরনের উদ্যোগ যাতে বাস্তবায়িত হয় এবং সাধারণ মানুষ ঠিকঠাক পরিষেবা পায়।
কবে চালু হবে, উত্তর মিলল না
এ বিষয়ে নদীয়া জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক জ্যোতিষচন্দ্র দাস বলেন, ওই প্রকল্পটির পরিকাঠামো গত কাজ চলছে। খুব শীঘ্রই চালু হবে পরিষেবা। তবে বিস্তারিত বিষয়টি হাসপাতালে সুপার জানাতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours