মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩০ থেকে ৩২ লাখ টাকার বিনিময়ে নিট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিক্রি হয়েছে। নিট প্রশ্ন ফাঁসের (NEET Paper Leak) ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড অমিত আনন্দকে জেরা করে এই তথ্য পেয়েছে পুলিশ। সূত্রের খবর পরীক্ষার একদিন আগেই লিক হয়ে গিয়েছিল প্রশ্নপত্র। অমিত আনন্দই প্রশ্নপত্র বিক্রির মাস্টারমাইন্ড। পুলিশের জেরায় সে আরও জানিয়েছে একদিন আগে প্রশ্ন ফাঁসের উদ্দেশ্য ছিল যাতে ছাত্ররা প্রশ্নপত্র মুখস্ত করে নিতে পারে।
নিটের প্রশ্নপত্রের মূল্য ৩০ লক্ষ টাকা (NEET Paper Leak)
প্রশ্নপত্রের বিনিময়ে ছাত্রদের লক্ষাধিক টাকা নেওয়া হত। বর্তমানে নিট কাণ্ডের জেরে দেশ জুড়ে চলছে প্রতিবাদ আন্দোলন। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। দাবি উঠছে যাতে ২০২৪-এর নিট পরীক্ষা নতুন করে নেওয়া হয়। প্রশ্নপত্র ফাঁস (NEET Paper Leak) কাণ্ডে ১৩ জনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন দানাপুর পৌরসভার জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার সিকন্দরও। আরও জানা গিয়েছে, শুধু প্রশ্নপত্রই নয় প্রশ্নপত্রের সঙ্গে উত্তরও ছাত্রদের পরীক্ষার আগের দিনই পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল। জেরায় অমিত স্বীকার করেন, নিট পরীক্ষার আগের দিন প্রশ্ন ফাঁস হয়। প্রশ্নপত্র ও মডেল উত্তরপত্র পরীক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বলা হয়, রাতে পুরো উত্তরপত্র স্মরণ করে নিতে। ৩০ থেকে ৩২ লাখ টাকার বিনিময়ে প্রশ্নপত্র বিক্রি হয়েছে।
সিকন্দর ও অমিতের যোগসূত্রে ফাঁস প্রশ্নপত্র
পুলিশ জানিয়েছে ধৃতের ফ্ল্যাট থেকে নিটের প্রশ্নপত্র এবং উত্তরপত্র পুড়িয়ে ফেলা অংশ উদ্ধার হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিহারের রাজধানী পাটনার শাস্ত্রীনগর থানায় নিটের প্রশ্নপত্র ফাঁস (NEET Paper Leak) সংক্রান্ত মামলার রুজু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অমিত বিহারের মুঙ্গের জেলার বাসিন্দা। তবে পাটনার এইজি কলোনিতে ভাড়া থাকত। সে কীভাবে ছাত্রদের সঙ্গে দেখা করে অর্থসংগ্রহ করত সে বিষয়েও বিস্তারিত জানিয়েছে পুলিশের জেরায়। অমিত দানাপুর পুরসভার জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার সিকন্দারের সঙ্গে পরীক্ষার কয়েক দিন আগে ব্যক্তিগত কাজে দেখা করতে যায়। সুযোগ বুঝে সিকন্দরকে টোপ দেয় সে। বলে যে কোন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সে পরীক্ষার্থীদের পাইয়ে দিতে পারে।
আরও পড়ূন: নিট-ইউজি মেডিক্যাল এন্ট্রাস পরীক্ষার পুনর্মূল্যায়ন, স্কোর কমতে পারে অনেকের
সিকন্দর জানায়, তাঁর কাছে চার-পাঁচ জন ছাত্র রয়েছে। যারা নিটের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাঁদেরকে পাশ করিয়ে দিতে হবে। টাকা নিয়ে সমস্যা হবে না। তবে কমিশন ঠিক টাইম মত দিতে হবে। এরপরে সিকন্দার তাঁকে চারজন পরীক্ষার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেয়। পরীক্ষার আগের দিন পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের প্রশ্নপত্র (NEET Paper Leak) দিয়ে দেওয়া হয়। বিনিময়ে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৩০ থেকে ৩২ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়। এর পর অমিত সিকন্দরকে তাঁর কমিশন বুঝিয়ে দেয়।
+ There are no comments
Add yours