মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে নেপালের দুর্ঘটনাগ্রস্ত (Nepal Air Crash) বিমানের খবর মিলল। গতকাল সন্ধ্যায় খারাপ আবহাওয়ার জন্য উদ্ধারকাজ বন্ধ থাকার পর আজ ফের নতুন করে তল্লাশি অভিযানে নেমেছিল উদ্ধারকারী দল। এরপর সকালেই জানানো হয়, নেপালে দুর্ঘটনার কবলে পড়া তারা এয়ারের (Tara Air) বিমানটিকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে থেকে ১৪ জনের ঝলসে যাওয়া দেহ উদ্ধার হয়েছে। নেপাল সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, "বিমান দুর্ঘটনায় কেউ বেঁচে নেই।" গতকাল চার ভারতীয়সহ ২২ জন যাত্রী নিয়ে নিখোঁজ হয়েছিল বিমানটি।
নেপালের অসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র দেও চন্দ্র লাল কর্ণ জানান, "এখনও পর্যন্ত ১৪টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, বাকিদের জন্য অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। আবহাওয়া খারাপ থাকার দরুন দুর্ঘটনাস্থলে যাওয়া যাচ্ছে না। তুষারপাতের কারণে অন্য কোনও ফ্লাইটে করে এখন আর সেখানে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।"
ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার প্রেমনাথ ঠাকুর বলেন, "তুষারপাতের কারণে আজকের উদ্ধার কাজ স্থগিত রাখতে হবে। যেসব হেলিকপ্টারগুলিকে উদ্ধার কাজে পাঠানো হয়েছিল তাদের ফিরিয়ে আনা হয়েছে।" গতকাল সকালে তারা এয়ারের ৯ এনএইটি (Tara Air's 9 NAET) বিমানটি নেপালের পোখারা (Pokhara) থেকে জোমসমের (Jomsom) উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল।
সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটের পর থেকে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে বিমানটির যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে যায়। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, মুসতাং জেলার (Mustang District) জোমসমের কাছে আকাশে বিমানটি শেষবার দেখা গিয়েছিল। তারপর তা ধৌলাগিরি শৃঙ্গের দিকে বাঁক নেয়। তখন থেকেই বিমানের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এর আগেও ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পশ্চিম নেপালের পাহাড়ি এলাকায় ভেঙে পড়েছিল তারা এয়ারেরই একটি বিমান। মৃত্যু হয়েছিল বিমানে থাকা ২৩ জন যাত্রীর। সেই বিমানটিও পোখারা থেকে জোমসমের দিকেই যাচ্ছিল।
+ There are no comments
Add yours