Nirmala Sitharaman: “বড় শিল্প তো আসেই না”- ব্যর্থতার অভিযোগে সরকারকে বিঁধলেন নির্মলা

Sandeshkhali Issues: সন্দেশখালি ইস্যুতেও আক্রমণ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর
WhatsApp_Image_2024-05-17_at_555.37_PM
WhatsApp_Image_2024-05-17_at_555.37_PM

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের আবহে কলকাতায় দাঁড়িয়ে সরকারকে ব্যর্থতার অভিযোগে বিঁধলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতায় দাঁড়িয়ে শিল্পায়নের প্রসঙ্গ তুলে পূর্বতন বাম এবং বর্তমান তৃণমূল সরকারকে একাধারে ব্যর্থতার অভিযোগে বিঁধলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। 

সীতারামনের মন্তব্য  (Nirmala Sitharaman)

এদিন এক সংগঠনের আয়োজিত নাগরিক সম্মেলনে যোগ দিতে কলকাতায় আসেন নির্মলা। সেখানেই সীতারামনের দাবি করেন, এক সময় বাংলা শিল্পের নিরিখে দেশের প্রথম সারির রাজ্যগুলির অন্যতম হিসেবে গণ্য হত। কিন্তু গত ৫০ বছরে পরিস্থিতি লাগাতার অবনতির দিকে অগ্রসর হয়েছে। যদিও বর্তমান সরকারকে একটু বেশি দুষলেন নির্মলা। তিনি বলেন, "শিল্পের হাল এখন বামফ্রন্ট জমানার থেকেও অনেক বেশি খারাপ হয়েছে। বড় শিল্প তো আসেই না। বরং যারা ছিল তাদের অনেকে রাজ্য ছেড়ে চলে যাচ্ছে।" এছাড়াও এদিন  তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, তোলাবাজি এবং গুন্ডাগিরির অভিযোগ তুলে তাঁর মন্তব্য, এই সব কারণেই বড় সংস্থা থাকছে না। শিল্প তৈরির অনুকূল পরিবেশই নেই। 

সন্দেশখালি ইস্যুতেও আক্রমণ  

এবারের লোকসভা ভোটে বিজেপির অন্যতম অস্ত্র সন্দেশখালি (Sandeshkhali Issues)। নারী নির্যাতনের অভিযোগ থেকে ভাইরাল ভিডিও ঘিরে বারবার শিরোনামে উঠে এসেছে এই এলাকার নাম। বৃহস্পতিবার সন্দেশখালি ইস্যুতেও আক্রমণ শানান নির্মলা। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman) বলেন, “সন্দেশখালিতে ভিক্টিম শেমিং করছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেও করেছেন। পার্ক স্ট্রিটের সময়।’’

মূলধন তৈরির নিরিখেও পিছিয়ে রাজ্য 

মূলধন তৈরির নিরিখেও রাজ্য পিছিয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেন নির্মলা (Nirmala Sitharaman)। তাঁর দাবি, এখানে এক সময়ে মূলধন সৃষ্টির হার ছিল ৬.৭%। এখন তা ২.৬%। এ প্রসঙ্গে তাঁর অভিযোগ রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা বৃদ্ধির এটি অন্যতম কারণ। 

আরও পড়ুন: ১৫ দিনে ১০ জন প্রসূতির মৃত্যু উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে, চিকিৎসার গাফিলতি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

কুণাল ঘোষের মন্তব্য

নির্মলার মন্তব্যের প্রসঙ্গে তৃণমূলের নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘নির্মলা সীতারামন যে পরিবেশে থাকেন, সেখান থেকে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি বোঝা সম্ভব নয়। এখানে গত ১০ বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি বিকল্প অর্থনৈতিক ভাবনা প্রতিষ্ঠা করেছেন। শুধু শিল্প লগ্নি হয়নি, তার বিকেন্দ্রীকরণ হয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে বহু মানুষ যুক্ত হয়েছেন।’’  কুণালের দাবি, পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতিকে মূল্যায়ন করতে করোনার সময় লকডাউন চলাকালীন দেশের বিভিন্ন রাজ্যের আর্থিক অবস্থার সঙ্গে এ রাজ্যের তুলনা করলেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman) তা বুঝতে পারতেন। 

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles