Honey: রাতে ঠিকমতো ঘুম হচ্ছে না? নিয়ম মেনে মধু খেলেই মিলতে পারে সমাধান!

মধু নিয়মিত খেলে কী কী লাভ? 
Honey
Honey

তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

এক গ্লাস গরম জলে এক চামচ মধু কিংবা রাতে রুটির সঙ্গে সামান্য মধু (Honey) মিশিয়ে খেলেই পাওয়া যাবে নানা উপকার। এমনকী একাধিক জটিল শারীরিক সমস্যাও কমবে‌। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত মধু খেলে শরীর ভালো থাকে। তবে, কয়েকটি নিয়ম মেনে তবেই মধু খাওয়া উচিত। না হলে আবার বিপত্তি ঘটতে পারে।

নিয়মিত মধু খেলে কী উপকার পাওয়া যায়? (Honey)

বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনিদ্রার সমস্যা কমাতে মধু বিশেষ সাহায্য করে। তরুণ প্রজন্মের একটা বড় অংশ অনিদ্রার সমস্যায় ভোগে। রাতে ঠিকমতো ঘুম না হওয়ায় অনেকেই উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগের মতো একাধিক শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। আবার মানসিক অস্থিরতাও বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে গরম দুধে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্যে প্রভাব পড়ে। এতে ঘুম ভালো হয়। 
অনেকেই মুখের ভিতরে ঘায়ের সমস্যায় ভোগেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভিটামিনের অভাবে অনেকের মুখের ভিতরে ঘা হয়। যার জেরে খেতে অসুবিধা হয়। জ্বালা অনুভব হয়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, মধু খেলে মুখের ঘা দ্রুত কমে। কারণ, মধুতে (Honey) রয়েছে অ্যান্টি-বায়োটিক। তাই তা ঘা সারাতে বিশেষ সাহায্য করে। 
পাশপাশি, মধু ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারী। তাই বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ত্বকের একাধিক রোগ প্রতিরোধে মধু ব্যবহার করা যেতে পারে। ত্বকে লাল দাগ হলে কিংবা ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে গেলে মধু খাওয়ার পাশপাশি মধু ত্বকে লাগালেও বিশেষ উপকার পাওয়া যাবে। তাই ত্বকের সমস্যায় মধু বিশেষ কাজ করে। 
ফুসফুসের সংক্রমণ রুখতে মধু বিশেষ উপকারী বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, আবহাওয়ার পরিবর্তন হলে অনেকেই সর্দি-জ্বর-কাশির সমস্যায় ভোগেন। এর জেরে ফুসফুসের একাধিক সমস্যা দেখা যায়। নিয়মিত মধু খেলে এই ধরনের সমস্যা আটকানো‌ সম্ভব। কারণ, মধুতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল যৌগ।‌ তাই সংক্রমণ রুখতে মধু বিশেষ উপকারী।

মধু খাওয়ার ক্ষেত্রে কোন দিকে নজর দিতে হবে? (Honey)

মধু খুবই উপকারী। কিন্তু মধু খাওয়ার ক্ষেত্রে পরিমাণের দিকে বিশেষ‌ ভাবে নজর দেওয়া জরুরি। কারণ, অতিরিক্ত মধু খেলে দাঁত ও মাড়ির সমস্যা হতে পারে। তবে, ডায়াবেটিস থাকলে মধু খাওয়ায় বিশেষ সতর্কতা জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মধুতে থাকে ফ্রুকটোস। তাই রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি‌ থাকলে মধু খাওয়ার ক্ষেত্রে রাশ টানতে হবে। 
পাশপাশি ফ্যাটি লিভারের সমস‌্যা থাকলেও নিয়মিত মধু খাওয়া যাবে না। কারণ, মধু্তে হজমের ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে।
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, ১২ মাসের কম বয়সী শিশুদের একেবারেই মধু খাওয়ানো যাবে না। কারণ, মধুর একাধিক উপাদান শিশুদের পেটে সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। তাই সদ্যোজাত থেকে জন্মের প্রথম এক বছর মধু (Honey) না‌ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক মহল।

 

DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles