মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার পাকিস্তানের বিশেষ আদালত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে (Imran Khan) গোপন তথ্য পাচারের অভিযোগে ১০ বছরের কারাবাসের সাজা ঘোষণা করেছিল। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ওই একই আদালত এবার ইমরান খানকে সস্ত্রীক ১৪ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনাল। জানা গিয়েছে, তোষাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীকে। ওই একই সাজা শোনানো হয়েছে ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবিকেও। এর পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দিয়েছে আগামী ১০ বছরের জন্য কোনও সরকারি পদে বসতে পারবেন না ইমরান খান অথবা বুশরা বিবি। পাকিস্তানি মুদ্রায় তাঁদেরকে ৭৯ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
২০২২ সালে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে অপসারিত হন ইমরান
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের এপ্রিল মাসেই দুর্নীতির অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী পদ চলে যায় ইমরান খানের (Imran Khan)। ক্ষমতা হারানোর পরেই দুবাইয়ের এক ব্যবসায়ী দাবি করেন, বিদেশ থেকে ইমরান খান যে উপহার পেয়েছিলেন সেই উপহার তিনি কুড়ি লাখ টাকায় কিনে নিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে ইমরানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ যখন পাকিস্তানের মসনদে ছিল, তখনই সৌদি আরবের রাজা মহম্মদ বিন সুলেমন ইমরানকে ওই বহুমূল্য ঘড়ি উপহার হিসেবে দেন। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনী যে কোনও প্রক্রিয়ায় ইমরান খানকে (Imran Khan) নির্বাসন দেয়। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ইমরান। কিন্তু সেখানে তাঁর আবেদন খারিজ হয়।
২০২৩ সালের ৫ অগাস্ট দোষী সাব্যস্থ হন ইমরান
২০২৩ সালের ৫ অগাস্ট ইসলামাবাদ কোর্ট দোষী সাব্যস্ত করে ইমরান খানকে। তারপরেই ইমরান খান (Imran Khan) গ্রেফতার হন তখন থেকেই জেলে রয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, পাক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা বর্তমানে চলছে। গতকালই গোপন তথ্য পাচারের যে অভিযোগে ১০ বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা হয়েছে ইমরানের সেখানে একইসঙ্গে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে একদা তাঁর সরকারের বিদেশ মন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশিকেও। এতদিন পর্যন্ত পাকিস্তানের অ্যাটাক ডিস্ট্রিক্ট জেলে বন্দি ছিলেন ইমরান খান। গত ডিসেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্ট ইমরান খান এবং কুরেশিকে জামিন দিয়েছিল কিন্তু একাধিক মামলা চলায় জেলেই ছিলেন ইমরান খান।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours