Pakistan: অর্থসংকট কাটাতে আইএমএফের শর্ত মেনেই বাজেট পেশে রাজি পাকিস্তান?

একগুচ্ছ কড়া পদক্ষেপ নেবে পাক সরকার...
pakistan
pakistan

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চূড়ান্ত অর্থসংকটে ভারতের (India) প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান (Pakistan)। প্রয়োজন আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের (IMF) সাহায্যের। সেই সাহায্য পেতে গেলে পাকিস্তানকে বাজেট পেশ করতে হবে আইএমএফ-এর শর্ত মেনেই। তা না হলে মিলবে না অর্থ সাহায্য।

পাহাড় প্রমাণ অর্থসংকট। পাকিস্তান জুড়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের হাহাকার। মূল্যবৃদ্ধি পৌঁছেছে চূড়ান্ত পর্যায়ে। দেশবাসীর একটা বিরাট অংশ দুবেলা খেতে পান না পেট ভরে। দেশের এই সংকট মোকাবিলায় একের পর এক কঠোর পদক্ষেপ করছে সে দেশের সরকার। তার পরেও মেটেনি সমস্যা।

আরও পড়ুন :ঋণ মেটাতে অধিকৃত কাশ্মীরের একাংশ চিনকে সমর্পণ করতে পারে পাকিস্তান?

শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি দেখে শঙ্কিত অর্থসংকটে বিপর্যস্ত পাকিস্তান। দ্বীপরাষ্ট্রের মতো পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয়, সেজন্য চেষ্টার কসুর করছে না শেহবাজ শরিফের (Shehbaz Sharif) সরকার। উন্নয়নের ধারা বজায় রেখে দেশের তলানিতে ঠেকে যাওয়া অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে দেশটির প্রয়োজন বিপুল পরিমাণ ঋণের। পাকিস্তানকে এই মোটা অঙ্কের ঋণ দিতে পারে কেবল আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার।

এই ঋণ নিশ্চিত করতে ন্যূনতম গ্যারান্টির অর্থ জমা রাখতে হবে পাকিস্তানকে। উন্নতি ঘটাতে হবে সে দেশের আর্থিক অবস্থার। এটা করতে গিয়েই একের পর জনবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান সরকার। এর মধ্যে রয়েছে অল্প কয়েক দিনের ব্যবধানে জ্বালানিতে ভর্তুকি ছাঁটাই। আরও কিছু কঠোর পদক্ষেপ করতে হবে বলে দিন কয়েক আগেই পাক সংসদে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং।

আরও পড়ুন : 'মৃত' জঙ্গিকে 'গ্রেফতার', ধূসর তালিকা থেকে বেরোতে মরিয়া পাকিস্তান?

সম্ভাব্য ঋণখেলাপি (loan default) এড়াতে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের কাছ থেকে পাকিস্তানের প্রয়োজন ৯০ কোটি মার্কিন ডলার। এই ঋণ পেতেই গ্রহণ করতে হবে কড়া পদক্ষেপ। পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতা ইসমাইল জানান, আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের কাছ থেকে পাকিস্তান একটি "মেমরান্ডাম অফ ইকনমিক অ্যান্ড ফিসক্যাল পলিসি" পেয়েছে। সম্প্রতি সংসদে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, মাসে পঞ্চাশ হাজার টাকার ওপরে বেতন পান যাঁরা, তাঁদের প্রদত্ত ট্যাক্স ছাড়াও আয়ের ওপর আরও অতিরিক্ত ১০ শতাংশ "সুপার ট্যাক্স" বা সারচার্জ দিতে হবে। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

বছর কয়েক আগে প্রায় একই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল গ্রিস। তীব্র অর্থসংকট কাটাতে সেবারও গুচ্ছ জনবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সে দেশের সরকার। এবারও প্রায় একই পথে হাঁটতে চলেছে পাকিস্তান সরকার। এখন দেখার, দেশকে দেউলিয়া হওয়ার পথ থেকে বাঁচাতে কী কী পদক্ষেপ করে শেহবাজ শরিফের সরকার।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles