মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) বাহিনী কীভাবে, কোথায় মোতায়েন হবে তার কোন পরিকল্পনা কেন্দ্রকে জানায়নি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বাহিনীকে বুথে পাঠানো হবে নাকি অন্য কাজে লাগানো হবে তার কোন উত্তর কমিশন দেয়নি। শুধু কোন জেলায়, কত বাহিনী মোতায়েন হবে তার একটা তালিকা দেওয়া হয়েছে। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জানালেন কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী। বাহিনীর পরিবহণ ও থাকার জায়গা নিয়ে রাজ্যের কাছে সাহায্য চাওয়া হয়েছিল। মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। তার কোন উত্তর মেলেনি বলেও অভিযোগ তাঁর। যদিও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দাবি, বাহিনী মোতায়েন করার পরিকল্পনা আমরা কেন্দ্রকে দিয়েছি এবং কেন্দ্র তার উত্তরও দিয়েছে।
প্রধান বিচারপতির মন্তব্য
দু পক্ষের সওয়াল শেষে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, এখানে কেন্দ্রের যে নোডাল অফিসার আছেন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন না কেন? তাঁর সঙ্গে বৈঠক করুন, ইতিবাচক (Panchayat Election 2023) সিদ্ধান্ত নিন। তিনি বলেন, শুধু আদালত আশ্বস্থ হলে হবে না, মানুষ যেন ভরসা পায় যে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে গেলে কিছু হবে না। সেই ধরনের কিছু পদক্ষেপ করুন। প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনারা এই আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্যের হাত ধরে সুপ্রিম কোর্ট চলে গেলেন। কিন্তু এই কমিশনই আগে রাজ্যের বিরোধিতায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। তিনি বলেন, আমরাও বারবার হস্তক্ষেপ করতে চাই না। কিন্তু এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে যে আমাদের হস্তক্ষেপ করতেই হচ্ছে।
'আমরা বিরক্ত'
প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা বিরক্ত। ছোটখাটো সব হিসাব করার জন্য আমরা বসে নেই। পরিকাঠামোগত ব্যবস্থা ভালভাবে করা সহজ কাজ নয়, রাজ্য এবং কমিশন একসঙ্গে কাজ করলে তবেই সেটা সম্ভব। আপনাদের নিজেদের সম্মান এবং মর্যাদা রক্ষার জন্য এমন পদক্ষেপ করুন যাতে সাধারণ মানুষ আপনাদের(কমিশনকে) ভরসা করেন। সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভোটের (Panchayat Election 2023) আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের কাজে নিযুক্ত করা যাবে না বলেও এদিন ফের মনে করিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি। তাঁর মন্তব্য, মনে হচ্ছে আমাদের(বিচারপতিদের) এখান থেকে সরোজিনী নাইডু সরণিতে স্থানান্তরিত হতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে ২০০ শতাংশ সহযোগিতা করুন বলে রাজ্যকেও পরামর্শ প্রধান বিচারপতির।
আরও পড়ুুন: শেষ হাসি হাসলেন রাজ্যপাল! অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ বৈধ, সাফ জানাল হাইকোর্ট
তিনি বলেন, আপনারা এক দফায় ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, পাঁচ দফায় নয়। তাই আপনাদের তরফ থেকে আরও সহযোগিতা লাগবে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে রিপোর্ট পেশের নির্দেশও দিয়েছে আদালত। কমিশন কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সেই সংক্রান্ত রিপোর্টও চেয়েছে আদালত। এর পাশাপাশি রাজকেও রিপোর্ট পেশের নির্দেশ আদালতের। যদি আদালতের নির্দেশ মোতাবেক ভোটকর্মী নিয়োগ করা না হয়ে থাকে তবে অবিলম্বে তা করতে হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে সোমবার।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours