মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্যারিস অলিম্পিকে (Paris Olympics 2024) এবার খাদ্যতালিকায় মিলবে ভারতীয় খাবার। গেমস ভিলেজে নীরজ চোপড়া, শ্রীজেশ, সাত্ত্বিক সাইরাজরা একদম ঘরের খাবার পাবেন। আগের গেমস ভিলেজগুলোর কিছুটা অন্য রকম খাবার চাখতে গিয়ে প্রথম দিকে সমস্যায় পড়তে হত ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের। কারণ ঠিকঠাক ভারতীয় খাবার সেখানে মিলত না। এবার প্যারিসের ডাইনিং হলে ভারতের ছেলেমেয়েরা তাঁদের পছন্দের খাবার পাবেন। ২৬ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ব ক্রীড়ার মহাযজ্ঞ। গেমসে অংশ নিতে যাওয়া দশ হাজারেরও বেশী অ্যাথলিটরা থাকবেন প্যারিসের সুবিশাল অলিম্পিক ভিলেজে (Olympic Village)। অলিম্পিক ভিলেজের হেঁশেল খুলে যাবে ২১ জুলাই থেকেই।
খাদ্য তালিকায় কী কী
বিগত অলিম্পিকের (Paris Olympics 2024)আসরে ভারতীয় খাবার বলে আলাদা করে কিছুই মিলত না। সারা বিশ্বের ক্রীড়াবিদদের জন্য খাবারের তালিকা ভাগ করা হত, মহাদেশ ধরে। ভারতীয়দের খেতে হত এশিয়ান খাবার। তবে তার স্বাদ মোটেই ভারতীয় খাবারের সঙ্গে মিলত না। কিন্তু বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায়, কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের উদ্যোগে এবং ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সক্রিয় পদক্ষেপে এবার এই সুবিধা পেতে চলেছেন ভারতীয় অ্যাথলিটরা। আইওএ-র তরফে অনেক আগেই একটা মেনু লিস্ট পাঠানো হয়েছিল প্যারিস অলিম্পিক্সের সংগঠকদের। কয়েকদিন আগে মিটিংয়ে ভারতীয় কর্তাদের দাবি মেনে নিয়েছেন সংগঠকরা, এমনই জানিয়েছেন ভারতের ডেপুটি শ্যেফ দ্য মিশন মুকুল কেশবন। ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (IOA) সূত্রে খবর, এবার গেমস ভিলেজের রান্নাঘরে যেমন বাসমতী চালের ভাত, ডাল, রুটি, আলু-কপির তরকারি, একটু ঝাল ঝাল চিকেনকারি থাকছে, তেমনই দক্ষিণ ভারতীয়দের জন্য একটু টক-টক স্বাদের চিকেনকারিও থাকবে।
আরও পড়ুন: কলকাতার সামনে হায়দরাবাদ, জেনে নিন আইপিএল প্লে-অফে কবে কার সঙ্গে কার খেলা?
ঘরের খাবারের স্বাদ দেওয়া লক্ষ্য
অলিম্পিকের (Paris Olympics 2024) মতো কঠিন গেমসে ভারতের ক্রীড়াবিদরা যাতে ঘরের মতো পরিবেশ পায়, সেটা দেখাই ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (IOA) মূল উদ্দেশ্য। আইওএ সূত্রে খবর, সংস্থার তরফে বেশ কয়েকজন নিউট্রিশিয়নিস্টের সঙ্গে আলোচনাও করে নেওয়া হয়েছে খেলোয়াড়দের খাদ্য তালিকা নিয়ে। খাবারের পুষ্টিগুণ বজায় রেখেই খাদ্য তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থার প্রেসিডেন্ট পিটি উষা বলেছেন, ‘প্যারিস অলিম্পিকে একঝাঁক তরুণ অ্যাথলিট দেশের জন্য লড়বেন। এটা একটা বিরাট দিক। তাঁদের অভিজ্ঞতা, দায়বদ্ধতা ও খেলার প্রতি প্যাশন অন্যদের প্রেরণা জোগাবে। এদের দেখেই সাফল্য পাবে, ক্রীড়াক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে উৎসাহ পাবে দেশের শিশু-কিশোর অ্যাথলিটরা।’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours