মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ঘোষণা করে দিয়েছে ২৩ মে থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২০০০ টাকার নোট (2000 Rupee Notes) বদল করতে হবে। কিন্তু সাধারণ জনগণকে ব্যাঙ্কে না গিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতেই সেই টাকা খরচ করতে দেখা যাচ্ছে। গ্রীষ্মের সময়ে মরসুমি ফল হিসেবে আমের চাহিদা তুঙ্গে থাকে, ব্যাঙ্কে নোট বদল না করে সেই টাকা আম কিনতে খরচ করতে দেখা যাচ্ছে জনগণকে। কেউ কেউ বলছেন, ‘‘ আমেই ভরসা আম আদমির। ’’
মুম্বইয়ের জনৈক আম বিক্রেতা কী বলছেন?
মুম্বইয়ের জনৈক আম বিক্রেতা মহম্মদ আজহার বলছেন, ‘‘প্রচুর সংখ্যক মানুষ দু হাজার টাকার নোট দিচ্ছেন আম কিনতে। প্রতিদিন আমি আট থেকে দশটি দু হাজার টাকার নোট পাচ্ছি। এগুলোকে আমি নিচ্ছি। কারণ আমার এছাড়া আর কোনও উপায় নেই। এটা আমার ব্যবসা এবং গ্রাহকদেরকে সন্তুষ্ট রাখাই আমার কর্তব্য।’’ যদিও বিশেষজ্ঞ মহলের মতে বর্তমান প্রজন্ম ক্যাশলেস লেনদেনের দিকেই বেশি ঝুঁকছে। অনলাইন পেমেন্টই তারা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই অর্থে সাধারণ মানুষের কাছে যে ২০০০ টাকার নোট (2000 Rupee Notes) অনেক মজুদ আছে, এমন নয়।
আরও পড়ুন: আজ থেকে শুরু ২০০০ টাকার নোট বদলের প্রক্রিয়া! জেনে নিন নানা নিয়ম
একই কথা জানিয়েছে ফুড ডেলিভারি সংস্থা জোম্যাটো
তবে শুধুমাত্র আমের ক্ষেত্রেই নয়, দেখা যাচ্ছে খাবার অর্ডারের ক্ষেত্রেও সাধারণ জনগণ ২০০০ টাকার নোট বেশি ব্যবহার করছেন। জনপ্রিয় ফুড ডেলিভারি সংস্থা জোম্যাটো জানিয়েছে যে ক্যাশ অন ডেলিভারির ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ৭২ শতাংশ গ্রাহকই তাদেরকে ২০০০ টাকার নোট (2000 Rupee Notes) দিচ্ছেন। তবে সব সংস্থাই যে ২০০০ টাকার নিয়ে নিচ্ছে এমন নয়। যেমন মুম্বইয়ের এক রেস্টুরেন্ট মালিক বলেন, ‘‘গ্রাহকদের কাছে ২০০০ টাকার নোট নিলে, আবার তা বদলাতে আমাকে ব্যাঙ্কে ছুটতে হবে। তাই এই নোট আমি নিচ্ছি না।’’ একই চিত্র কমবেশি সব শহরেই ধরা পড়ছে।
২০১৬ সালে নোট বন্দির সময় বাজারে এসেছিল ২০০০ টাকার নোট
প্রসঙ্গত ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর নরেন্দ্র মোদি সরকার পুরনো ৫০০ এবং ১০০০ নোট বাতিল বলে ঘোষণা করে। এবং সেই মতো বাজারে নোটের চাহিদা মেটাতে আনা হয় দু হাজার টাকার নোট।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours