মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধীরা জাতপাতের ভিত্তিতে দেশকে ভাগ করতে চাইছে। গরিব মানুষের আবেগ নিয়ে খেলা চলছে। সোমবার গোয়লিয়রে এক সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) এই অভিমত ব্যক্ত করেন। তাঁর কথায়, আগেও দেশকে জাতপাতের নামে ভাগ করার চেষ্টা করা হয়েছে। এখনও তা চলছে। দেশকে জাতপাতের ভিত্তিতে ভাগ করার চেষ্টা মহাপাপ।
কী বললেন প্রধানমন্ত্রী
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) মধ্যপ্রদেশে নির্বাচনী প্রচারে যান। সেখানে জনসভা থেকেই বিহারের জাতিগত সমীক্ষা নিয়ে বিরোধীদের নিশানা করে মোদি বলেন, ‘‘বিরোধীরা জাতের নামে দেশকে বিভাজনের দিকে ঠেলে দিতে চাইছে। বর্ণের মাধ্যমে বিভাজনের চেষ্টা চালানো পাপ।’’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘ওরা দরিদ্রদের অনুভূতি নিয়ে খেলত। আজও একই খেলা খেলছে। আগেও তারা জাতির নামে দেশভাগ করছে এবং আজও একই পাপ কাজ করছে। আগে ওরা দুর্নীতিতে দোষী হয়েছিল এবং আজ আরও দুর্নীতিগ্রস্ত হয়েছে।’’ এই ইস্যুতে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরব মোদি বলেন, “মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে প্রথমেই জাতির ভিত্তিতে সমীক্ষা করবে এবং ওবিসিদের সংখ্যা জানবে…।” এর ফলে ওবিসিদের সংরক্ষণ কমতে পারে বলেও আশঙ্কাবার্তা দেন তিনি।
আরও পড়ুন: লাইনে পাথর, লোহার রড! চালকের তৎপরতায় বড় দুর্ঘটনা এড়াল বন্দে ভারত
কেন এই মন্তব্য মোদির
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলাকালীনই সোমবার বিহারে জাতিভিত্তিক জনগণনার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে নীতীশ কুমার সরকার। নীতীশ কুমারের রাজ্যে অতি পিছিয়েপড়া শ্রেণির মধ্যে পড়েছেন ৩৬ শতাংশ মানুষ, পিছিয়েপড়া শ্রেণির মধ্যে রয়েছেন ২৭.১ শতাংশ। সবেমিলিয়ে রাজ্যে পিছিয়েপড়া মানুষ রয়েছে ৬৩.১ শতাংশ। বিহারের ১৩ কোটি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে তপসিলি জাতির মানুষ রয়েছেন ১৯.৭ শতাংশ মানুষ। এছাড়াও তপসিলি উপজাতিভূক্ত মানুষ রাজ্যের ১.৭ শতাংশ। রাজ্যে জেনালের ক্যাটিগোরির মানুষ মাত্র ১৬ শতাংশ। রাজ্যে ভূমিহারের হার ২.৮৬ শতাংশ, ব্রাহ্মণ ৩.৬৬ শতাংশ, মুখ্যমন্ত্রী জাতি কুড়মিরা রয়েছেন ২.৮৭ শতাংশ। এর পরেই নাম না করে বিহারের ‘মহাগঠবন্ধন’ সরকারের উদ্দেশে তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi) নরেন্দ্র মোদি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours