মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনদিনের মার্কিন সফর সেরে শনিবার বিকালেই পিরামিডের দেশে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। ঘটনাক্রমে, দীর্ঘ ২৬ বছর পর প্রথমবার কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মিশরে পা রাখলেন। মোদি কায়রো বিমানবন্দরে পা রাখতেই তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান মিশরের প্রধানমন্ত্রী মোস্তাফা মাদবাউলি। প্রবাসী ভারতীয়দের সম্মেলনে দেশের ঐতিহ্যবাহী পোশাক শাড়ি পরে এক মহিলা ভারতীয় হিন্দি সিনেমার গান গেয়ে মোদিকে স্বাগত জানান। যা শুনে অভিভূত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
‘শোলে’-র জনপ্রিয় গান ‘ইয়ে দোস্তি হাম নেহি তোড়েঙ্গে’-র দু-কলি গেয়ে শোনানো হয় প্রধানমন্ত্রী মোদিকে
এদিন কায়রো বিমানবন্দরে ‘গার্ড অফ অনার’ নেওয়ার পর প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। রাজধানী শহরের একটি হোটেলে প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে তাঁর আলাপচারিতার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেখানে হাজির হতেই প্রবাসী ভারতীয় মহিলারা একেবারে ভারতীয় কায়দায় শাড়ি পরে তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। তাঁদের মধ্যে জনৈক জিনা নামের একজন ভারতীয় হিন্দি সিনেমা ‘শোলে’-র জনপ্রিয় গান ‘ইয়ে দোস্তি হাম নেহি তোড়েঙ্গে’-র দু-কলি গেয়ে শোনান প্রধানমন্ত্রী মোদিকে।
#WATCH | PM Modi receives a warm welcome from members of the Indian community at the hotel in Cairo
— ANI (@ANI) June 24, 2023
PM Modi is on a two-day State visit to Egypt pic.twitter.com/JTy2wqstEz
গান শুনে অভিভূত প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)
গান শুনে অভিভূত হয়ে যান প্রধানমন্ত্রী। তিনি ওই মহিলার সামনে দাঁড়িয়ে গানের দু-কলির সম্পূর্ণ অংশ মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং করতালি দিয়ে বাহবা দেন। তারপর তাঁর গানের ভূয়সী প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “কেউ বুঝতে পারবে না যে, আপনি মিশরের নাগরিক নাকি ভারতীয় মেয়ে।” গান গেয়ে মোদিকে স্বাগত জানাতে পেরে অভিভূত জিনা। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করার মুহূর্ত ছিল অসাধারণ।” জানা গিয়েছে, হিন্দি গানের রীতিমতো চর্চা করেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত জিনা। তিনি জানান, ১২-১৩ বছর ধরে হিন্দি গানের চর্চা করছেন এবং ৬ বছর বয়সে প্রথম হিন্দি গান গাওয়া শুরু করেছেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours