Supreme Court on PMLA: পিএমএলএ আইন নিয়ে আগের রায় পর্যালোচনায় সুপ্রিম কোর্ট, বিবেচনায় দুটি ধারা 

ইডির ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কিছুদিন আগেই বিরোধী দলগুলি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল।
1018815-953467-supreme-court-file
1018815-953467-supreme-court-file

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত মাসেই আর্থিক দুর্নীতি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) ক্ষমতাকে (PMLA) ছাড়পত্র দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সেই রায়ের বিরোধীতা করেছিল দেশের বিরোধী দলগুলি। সুপ্রিম কোর্টের ইডিকে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়ার এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে বিষয়টিকে পুনর্বিবেচনা করার আবেদন জানিয়ে মামলা দায়ের করেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ কার্তি চিদম্বরম। এবার আর্থিক দুর্নীতি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের ক্ষমতা বহাল রাখার রায় পুনর্বিবেচনা (Review) করতে সম্মত হল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, আর্থিক দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন অনুসারে রায়ের দুটি বিষয় রয়েছে। একদিকে যেমন ইডির গ্রেফতারির সময় প্রতিক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ইসিআইআরের অনুলিপি দেখানো বাধ্যতামূক নয়। তেমনি অন্যদিকে, অভিযুক্তকে নির্দোষ প্রমাণের সুযোগ। এই দুইটি বিষয় সামনে রেখে আগের রায় পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন রয়েছে বলে সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: ২৯ অগাস্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে ২৫টি সাংবিধানিক বেঞ্চের মামলার শুনানি শুরু 

ইডির ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কিছুদিন আগেই বিরোধী দলগুলি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। ইডির বিরুদ্ধে সেই মামলায় সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলা হয়েছিল। অনেক ক্ষেত্রেই ইডি গ্রেফতারের সময় ইসিআইআরের অনুলিপি অভিযুক্ত বা অভিযুক্তের আইনজীবীকে দেখাচ্ছেন না বলে অভিযোগকারীরা আদালতে জানিয়েছিলেন। এবার এই ইসিয়াইআর কী? ইসিআইআরের অনুলিপি হল এনফোর্সমেন্ট কেস ইনফোর্সমেন্ট রিপোর্ট। ইডির ইসিআইআর অনেকটাই পুলিশের এফআইআরের মতো। এছাড়া ইডির বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগও করা হয়েছিল। পাশাপাশি বিরোধীরা এও অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক হিংসা চরিতার্থ করতে ক্ষমতা অপব্যবহার করছে ইডি। 

ইডির ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিমকোর্টে ২৪০টির বেশি পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী অনিল দেশমুখ, কংগ্রেস সাংসদ কার্তি চিদাম্বরম ইডির বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। এই তালিকায় রয়েছেন দেশের আরও অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও বিশিষ্ট জনেরা। ২৭ জুলাই সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি এএম খানইউলকরের বেঞ্চ ইডির ক্ষমতার পক্ষে রায় দিয়েছিল।

আরও পড়ুন: অসাংবিধানিক! ১৯৮৮ সালের বেনামি লেনদেন আইনের একটি ধারা বাতিল করল সুপ্রিম কোর্ট 

সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছিল, কোনও ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার আগে তাঁকে ইডির তরফে কেস ইনফরমেশন কপি (ECIR) দেওয়ার কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। আরও বলা হয়েছিল অভিযুক্তকে দোষী প্রমাণ করার কোনও দায় নেই তদন্তকারী সংস্থার। বরং অপরাধীকে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে হবে। এই দুটি নির্দেশই পুনরায় বিবেচনা করে দেখা হবে এদিন পুনর্বিবেচনা করা হবে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়েছে, "এই দুটি প্রাথমিক বিষয়ের পুনর্বিবেচনা করার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।" 

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles