মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর সময় ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করেছিলেন বছর চব্বিশের শুভ দাস। আর তারপরই তিনি হামলার শিকার হন। টানা কয়েকদিন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে তিনি হেরে যান। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছিল নদিয়ার (Nadia) হরিণঘাটার বিরহী এলাকায়। শনিবার রাতে হাসপাতাল থেকে দেহ এলাকায় আসতেই পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের মূল সড়ক যোগাযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় হরিণঘাটা থানার পুলিশ।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Nadia)
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ায় (Nadia) হরিণঘাটা থানার বিরহীর বাসিন্দা শুভ দাস পুজোর মধ্যে এক দিন বাড়ির কাছের পুজোমণ্ডপে বসেছিলেন। তিনি দেখতে পান, কয়েক জন মত্ত যুবক এক মহিলাকে উত্যক্ত করছেন। শুভ তাঁদের বাধা দেন। ইভটিজারদের সঙ্গে বচসা শুরু হয় তাঁর। কিছুক্ষণ পর অবশ্য এলাকা ছেড়ে চলে যায় ইভটিজাররা। অভিযোগ, পরে শুভ যখন বাইক চালিয়ে অন্যত্র যাচ্ছিলেন, তখন ওই ইভটিডজারা তাঁর পিছনে ধাওয়া করে। বাইকে লাথি মেরে তাঁকে রাস্তায় ফেলে দেন। স্থানীয় বাসিন্দারা রক্তাক্ত অবস্থায় শুভকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে স্থানান্তরিত করানো হয় কলকাতার হাসপাতালে। তারপর থেকে কলকাতায় চিকিৎসাধীন ছিলেন শুভ। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। গত শুক্রবার শুভর মৃত্যু হয়। এরপরেই ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। শনিবার দেহ এলাকায় ফিরলে তা নিয়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে চলতে থাকে বিক্ষোভ। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিক্ষোভকারীদের কী বক্তব্য?
বিক্ষোভকারীরা বলেন, পুজোর মধ্যে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করতে এলাকার ছেলে খুন হল। পুলিশে জানানোর পরও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার যদি এই অবস্থা হয় তা হলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? আগামীদিনে রাস্তা অন্যায় হলেও কেউ প্রতিবাদ করতে এগিয়ে আসবে না। আমাদের দাবি, অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours