মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন বাবা। এবার সেই একই কারণে প্রাণ বলি দিলেন ছেলে। বাবা ও ছেলের আত্মবলিদানের মাঝে পেরিয়ে গিয়েছে ২৪টা বছর। হ্যাঁ, কথা হচ্ছে পুঞ্চে নিহত ল্যান্স নায়েক কুলওয়ান্ত সিংহ (Kulwant Singh) প্রসঙ্গে। ১৯৯৯ সালে হয়েছিল কার্গিল (Kargil) যুদ্ধ। সেই যুদ্ধে শহিদ হয়েছিলেন কুলওয়ান্ত সিংহের বাবা। দিন দুই আগে পুঞ্চে সেনাবাহিনীর ট্রাকে যে জঙ্গি হামলায় শহিদ হয়েছেন পাঁচ ভারতীয় জওয়ান, তাতে প্রাণ হারিয়েছেন কুলওয়ান্ত স্বয়ং।
কুলওয়ান্ত সিংহ (Kulwant Singh) কী বলেছিলেন?
বাবার আত্মবলিদানের ১১ বছর পরে, ২০১০ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন ল্যান্স নায়েক কুলওয়ান্ত। বাড়ি ছাড়ার আগে মাকে তিনি বলেছিলেন, উদ্বিগ্ন হয়ো না, আমি ভালই থাকব। সেই ভাল থাকা আর হল না, আক্ষেপ কুলওয়ান্তের মায়ের। পঞ্জাবের মোগার ছাদিক গ্রামে রয়েছে কুলওয়ান্তের পরিবার। মা এবং স্ত্রী ছাড়াও পরিবারে রয়েছে বছর দেড়েকের শিশুকন্যা এবং মাস তিনেকের শিশুপুত্র। গ্রামের সরপঞ্চ জানান, পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য ছিলেন কুলওয়ান্ত। তিনি বলেন, কুলওয়ান্তের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে আসা উচিত সরকারের।
পুঞ্চের রাজৌরি সেক্টরে সেনাবাহিনীর একটি ট্রাকে গ্রেনেড হামলা চালায় পাক মদতপুষ্ট লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গিরা। গ্রেনেড হামলার আগে তারা ওই ট্রাক লক্ষ্য করে গুলিও ছোড়ে। গ্রেনেডের (Kulwant Singh) ঘায়ে আগুন ধরে যায় ট্রাকটিতে। জীবন্ত দগ্ধ হন রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের পাঁচ জওয়ান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। ওই ঘটনার পরে পরেই এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয় জঙ্গিদের খোঁজে। যদিও এখনও গ্রেফতার করা যায়নি কাউকে।
আরও পড়ুুন: পুলিশের জালে খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা অমৃতপাল সিংহ
সেনা সূত্রে খবর, সেনা এবং নিরাপত্তা বাহিনী জানতে পেরেছে ঘটনার সময় রাজৌরি-পুঞ্চ এলাকায় দুটি দলে ভাগ হয়ে হামলা চালায় ৬-৭ জন জঙ্গি। তার জেরেই শহিদ হয়েছেন পাঁচ জওয়ান। জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী, সেনা, পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থা। নামানো হয়েছে হেলিকপ্টার এবং ড্রোনও। প্রসঙ্গত, পুঞ্চে যে পাঁচ জওয়ান শহিদ হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে চারজনই পঞ্জাবের বাসিন্দা (Kulwant Singh)। একজন পুরীর। পঞ্জাবের যে চারজন প্রাণ বলি দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যেই ছিলেন কুলওয়ান্তও।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours