মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে খুশির ইদ। অথচ, কাশ্মীরের সাঙ্গিওতে গ্রামের বাসিন্দারা উৎসব পালনে না জানিয়ে দিয়েছেন। চারদিকে যেখানে উৎসবের রোশনাই, সেখানে এই গ্রাম ডুবে গিয়েছে শোকের অন্ধকারে। বৃহস্পতিবার, জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চে (Poonch Terror Attack) ভারতীয় সেনার ট্রাকে হামলা চালিয়ে পাঁচ সেনা জওয়ানকে হত্যা করে জঙ্গিরা। হামলার খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই শোকে মুহ্যমান গোটা গ্রামে বিষাদের সুর।
ইফতারির ফল নিয়ে যাচ্ছিলেন জওয়ানরা
না, জঙ্গিহানায় (Poonch Terror Attack) রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের যে ৫ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল, তাঁরা কেউ এই গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন না। কিন্তু, সেইদিন সেনার তরফে ইফতারি পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল গ্রামে। তাতেই যোগ দেওয়ার কথা ছিল ওই জওয়ানদের। তাঁরা ওই গ্রামের মানুষদের জন্যই ওই ট্রাকে করে ইফতারের ফল-মিষ্টি নিয়ে যাচ্ছিলেন। এই ৫ জওয়ানকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। রোজা শেষে যাতে ফল-মিষ্টি মুখে দিতে পারেন গ্রামের মানুষ, সেই জন্য ট্রাকবোঝাই করে বালাকোটের বাসুনির রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের হেডকোয়ার্টার থেকে জিনিস নিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ, শহিদ ৫ জওয়ান, জখম ১
কোথায় হয় হামলা?
সেনা ট্রাক ভিমবার গলি দিয়ে যাওয়ার সময়েই আতর্কিতে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা (Poonch Terror Attack)। অনুমান, গুলি চালাতে চালাতেই আচমকা গ্রেনেড ছোড়ে জঙ্গিরা। ট্রাকের গায়ে গিয়ে লাগে গ্রেনেড। দাউদাউ করে আগুন ধরে যায়। ভেতরেই ঝলসে মৃত্যু হয় পাঁচ জওয়ানের। শহিদ জওয়ানদের নাম - হাভিলদার মনদীপ সিং, সিপাই হরকৃষণ সিং, ল্যান্সনায়েক কুলবন্ত সিং, সিপাই সেবক সিং, ল্যান্সনায়েক দেবাশিস।
আরও পড়ুন: হামলা চালিয়েছিল সাত জঙ্গি! পুঞ্চে সেনার ট্রাকে হামলার নেপথ্যে লস্কর-ই-তৈবা?
কী বললেন গ্রাম প্রধান?
ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন গ্রামের প্রধান মুখতিয়াজ খান সহ অনেকেই। হামলার (Poonch Terror Attack) খবরে অনুষ্ঠান বাতিল হয়। প্রধান মুখতিয়াজ বলেন, ‘‘যেখানে আমাদের পাঁচ জওয়ান শহিদ হয়েছেন সেখানে কি ইফতার আর কি ইদ। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে গ্রামের মানুষরা এই হামলার খবর পেতেই গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে।’’
+ There are no comments
Add yours