মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত প্রবীণ আরএসএস (RSS) নেতা মদন দাস দেবী। বয়স হয়েছিল ৮১। সোমবার সকালে বেঙ্গালুরুর হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এদিন আরএসএসের পক্ষ থেকে ট্যুইট করে এই খবর জানানো হয়। উল্লেখ্য, শুধু আরএসএস নয়, অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের তিনি ন্যাশনাল অর্গানাইজিং সেক্রেটারিও ছিলেন। আরএসএসের ট্যুইটবার্তা অনুযায়ী, সকাল ৫ টা নাগাদ বেঙ্গালুরুর রাজারাজেশ্বরী নগরে একটি হাসপাতালে তাঁর প্রয়াণ ঘটেছে। অটলবিহারী বাজপেয়ি এবং লালকৃষ্ণ আদবানির সমসাময়িক এই নেতা বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আরএসএসের নানা চিন্তাভাবনা এবং সিদ্ধান্ত নিয়ে স্বচ্ছন্দ্যে কথা বলার ক্ষমতা রাখতেন। আরএসএস এবং বিজেপির বহু শীর্ষ নেতার আদর্শ তিনিই।
শোক প্রকাশ নরেন্দ্র মোদির
প্রবীণ এই নেতার (RSS) মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেবীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, তিনি অনেক কিছুই শিখেছেন তাঁর কাছে। প্রধানমন্ত্রী এক ট্যুইটবার্তায় বলেছেন, "মদন দাস দেবীজির প্রয়াণে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। জাতির সেবায় তিনি তাঁর জীবন উৎসর্গ করে গেছেন।" তিনি আরও লিখেছেন, "তাঁর সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল, শুধু এমনটাই নয়, তাঁর কাছ থেকে আমি অনেক কিছু পেয়েছি। এমন একটা বেদনাদায়ক সময়ে তাঁর পরিবার এবং কর্মীদের ঈশ্বর শক্তি দিন।"
শোক প্রকাশ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজুও আরএসএসের (RSS) ওই প্রবীণ নেতার প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, এই মৃত্যু সংবাদ বেদনাদায়ক। তাঁর চিন্তাভাবনা এবং জ্ঞান সব সময় আমাকে উদ্বুদ্ধ করেছে। দেশপ্রেমী মানুষ এবং দলের কার্যকর্তারাও তাঁর আদর্শ এবং অনুপ্রেরণায় সমৃদ্ধ।
শেষ জীবন
বয়সজনিত অসুস্থতার কারণে তিনি সংগঠনের নানা দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চাইলেও শরীর যতটা দিত, সেই অনুযায়ী সারা দেশ ঘুরে বেড়াতেন। দিল্লি এলে থাকতেন আরএসএসের (RSS) দীনদয়াল উপাধ্যায় রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সাততলার কমিউনে। মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা এই নেতা সঙ্ঘের যুগ্ম সম্পাদকের পদে কাজ করেছেন। সর্ব সময়ের এই প্রচারক শেষ জীবনে অসুস্থতার কারণে বেঙ্গালুরুতে ছিলেন চিকিৎসার জন্য। আরএসএসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁর নশ্বর দেহ স্থানীয় সঙ্ঘ কার্যালয়ে দুপুর দেড়টা থেকে চারটে পর্যন্ত রাখার পর উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে পুনেতে। সেখানেই তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours