Protest in Bangladesh: সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার প্রতিবাদে উত্তাল বাংলাদেশ

Quota System: ঢাকার কমপক্ষে ৫০টি রাস্তা টানা তিনদিন স্তব্ধ ছিল, কেন জানেন?
Untitled_design_(41)
Untitled_design_(41)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার দাবিতে বাংলাদেশ জুড়ে ছাত্র আন্দোলন (Protest in Bangladesh) চলছে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ছাত্ররা অবরোধ শুরু করেছে। ঢাকার কমপক্ষে ৫০টি রাস্তা তিন দিন টানা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত স্তব্ধ ছিল, ঢাকার সঙ্গে গোটা দেশের রেল ও সড়ক যোগাযোগও সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ চাকরিতে সংরক্ষণ বা কোটা ব্যবস্থার (Quota System) উপর স্থগিতাদেশ দেয়। একইসঙ্গে পড়ুয়াদের রাস্তা ছাড়তে পরামর্শ দিয়েছে। কিন্তু নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা উচ্ছেদের দাবিতে আন্দোলনকারীরা টানা রেল ও সড়ক অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিতর্কিত কোটা ব্যবস্থা (Protest in Bangladesh)

প্রসঙ্গত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ আসন সংরক্ষিত (Quota System) এবং ৪৪ শতাংশ অসংরক্ষিত। এই ৫৬ শতাংশের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ৩০ শতাংশ, মেয়েদের জন্য ১০ শতাংশ, বিভিন্ন জেলার জন্য ১০ শতাংশ, জনজাতিদের জন্য ৫ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ সংরক্ষিত পদ ছিল। এর আগেও ২০১৮ সালে কোটা-বিরোধী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল। তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ জারি করে মুক্তিযোদ্ধার স্বজনদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারীদের জন্য ১০ শতাংশ এবং জেলা খাতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ বাতিল করে দেন। রাখা হয় শুধু জনজাতিদের ৫ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধীদের ১ শতাংশ সংরক্ষণ। তখনকার মত আন্দোলন (Protest in Bangladesh) প্রত্যাহার করেন ছাত্ররা।

মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টে (Quota System)

৭ জন মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্য ২০১৮ সালের সংরক্ষণ বাতিলের সরকারি নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ২০২১ সালে হাইকোর্টে যান। ৫ জুন হাইকোর্ট রায় দেয়, সরকারি নির্দেশ অবৈধ। নির্দেশ বাতিলের অর্থ ফের আগের মতো সংরক্ষণ ফিরে আসা। এর প্রতিবাদেই ফের আন্দোলনে (Protest in Bangladesh) নেমেছেন ছাত্ররা। তাঁরা দাবি করেন, স্থায়ী ভাবে সরকারি নিয়োগ থেকে সব ধরনের কোটা ব্যবস্থা বাতিল করতে হবে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সরকারের তরফে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের অ্যাপিল বিভাগে আবেদন করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে অ্যাপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ বুধবার গোটা বিষয়টির উপর এক মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছে।

আরও পড়ুন: “ভারত বিশ্বকে বুদ্ধ দিয়েছে, যুদ্ধ নয়”, অস্ট্রিয়ায় বললেন প্রধানমন্ত্রী

সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ জানিয়েছে, হাই কোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হওয়ার পরে তা খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পরবর্তী শুনানি হবে ৭ অগস্ট। আন্দোলনকারীরা চাইলে এই মামলায় অংশ নিতে পারেন। কিন্তু অবিলম্বে তাঁদের রাস্তা ছেড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরতে হবে এবং জনজীবনকে এভাবে অতিষ্ঠ করা চলবে না। সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে হবে।

 

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles