মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২২ সালে গুলিতে নিহত পুরুলিয়ার কংগ্রেস নেতা তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমাদেবীর (Purnima Kandu) মৃত্যু ঘিরে ক্রমশই বাড়ছে জটিলতা। আগেই তাঁর দেওরপো মিঠুন কান্দু দাবি করেছিলেন, কাকিমাকে (পূর্ণিমা কান্দু) কেউ বা কারা খুন করেছে। এই মৃত্যু স্বাভাবিক নয়, বলেই উল্লেখ করেন মিঠুন। ঠিক এই আবহে পূর্ণিমা কান্দুর ময়নাতদন্তের (Post Mortem) রিপোর্ট নিয়ে বাড়ছে জল্পনা। কংগ্রেস কাউন্সিলার পূর্ণিমা কান্দুর পেটে পাওয়া গিয়েছে ক্ষতিকারক পদার্থ। তবে কি শত্রুতার কারণে খাবারে বা পানীয়ে বিষ দেওয়া হয়েছিল? এনিয়েই শুরু হয়েছে জটিলতা, উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
দুর্গা পুজোয় নবমীর রাতে আচমকা মৃত্যু হয় পূর্ণিমাদেবীর (Purnima Kandu)
প্রসঙ্গত, পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর ছিলেন পূর্ণিমা কান্দু (Purnima Kandu)। চলতি বছরের দুর্গা পুজোয় নবমীর রাতে আচমকা মৃত্যু হয় পূর্ণিমাদেবীর। তাঁর চিকিৎসার সময়ও পাওয়া যায়নি। জানা গিয়েছে, গত ১১ অক্টোবর রাতে বাড়িতে পূর্ণিমাদেবী ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। পরে বাড়ি ফিরে পূর্ণিমার সন্তানরা দেখেন অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তাঁদের মা। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তবে সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরে ময়নাতদন্তের (Post Mortem) ব্যবস্থা করা হয়।
‘স্লো পয়জন’ দিয়ে মারা হয়েছে তাঁর কাকিমাকে, দাবি মিঠুনের
সম্প্রতি, পূর্ণিমা কান্দুর (Purnima Kandu) ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট সামনে এসেছে। ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, পেট থেকে ক্ষতিকারক পদার্থ পাওয়া গিয়েছে। তবে কী সেই ক্ষতিকারক পদার্থ, তা স্পষ্ট হয়নি এখনও। মিঠুন কান্দুর আগেই দাবি করেছিলেন, ‘স্লো পয়জন’ দিয়ে মারা হয়েছে তাঁর কাকিমাকে। মিঠুন আরও দাবি করেন, কাকিমার বাড়ির সিসিটিভিও খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে বেশ কিছুদিন ধরে। ইতিমধ্যে এই ঘটনার সিবিআই তদন্ত দাবি করেছে বিজেপি ও কংগ্রেস- দুই দলই। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৩ মার্চ মাসের বিকেলে হাঁটতে বেরিয়ে পুরুলিয়ার ঝালদা শহরের কাছে গোকুলনগরে আততায়ীদের গুলিতে নিহত হন তপন কান্দু। সেই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours